Turkey Flood: ভূমিকম্পের পর ভয়াল বন্যা, মৃত ১৪; তুরস্কে মরার উপর খাঁড়ার ঘা প্রকৃতির

Turkey Flood: ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের এক প্রাকৃতিক বিপর্যের সম্মুখীন তুরস্ক। ভেসে যাচ্ছে ভূমিকম্পে গৃহহারাদের আশ্রয় শিবির।

Turkey Flood: ভূমিকম্পের পর ভয়াল বন্যা, মৃত ১৪; তুরস্কে মরার উপর খাঁড়ার ঘা প্রকৃতির
ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের এক প্রাকৃতিক বিপর্যের সম্মুখীন তুরস্কে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 7:32 PM

আঙ্কারা: যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। গত মাসেই ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এসেছিল তুরস্কের আদিয়ামান এবং সানলিউরফা প্রদেশে। জোরালো ভূমিকম্পের জেরে হাজার হাজারের মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন। সেই ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের এক প্রাকৃতিক বিপর্যের সম্মুখীন তুরস্কের এই দুই প্রদেশ। প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াল বন্যা নেমে এসেছে এই দুই তুর্কি প্রদেশে। বন্যায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানিয়েছেন, আরও ৫ ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ। উদ্ধারকারী দলগুলি এখনও তিনটি স্থানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।

আকস্মিক বন্যার পর আদিয়ামান এবং সানলিউরফা প্রদেশের রাস্তাগুলি এখন নদীতে পরিণত হয়েছে। স্রোতের টানে বহু গাড়ি, বাড়িঘর এবং ভূমিকম্পে গৃহহারাদের জন্য তৈরি আশ্রয়শিবিরগুলি ভেসে গিয়েছে। সানলিউরফাতে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কাদের মধ্যে পাঁচজনই সিরীয় নাগরিক। একটি জলে ডুবে থাকা অ্যাপার্টমেন্টের বেসমেন্ট থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়। একটি আন্ডারপাসে আটকা পড়া একটি ভ্যানের ভিতর থেকে আরও দুই জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। সুলেমান সোয়লু জানিয়েছেন ভূমিকম্পের হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার পর, এক পরিবার একটি কন্টেইনার হোম আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুরো কন্টেইনারটিই ভেসে গিয়ে ওই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

সানলিউরফার জলমগ্ন রাস্তা থেকে নৌকায় করে উদ্ধার করা হয়েছে জনৈক মেলেক ইলদিরিমকে। আনাদোলু এজেন্সিকে তিনি বলেছেন, “ঘুম ভেঙে দেখেছিলাম, আমাদের বাড়ি জলের নীচে। পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। আমরা ভূমিকম্পের কথাও ভুলে গিয়েছি। আমরা সব ভুলে গিয়েছি। গৃহস্থালির মালপত্র, গাড়ি – সব জলে তলিয়ে গিয়েছে।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বন্যার জলে সানলিউরফার রাস্তা ভেসে যাচ্ছে। গাড়ি ও ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বন্যার জলের স্রোত। উদ্ধারকারীদের দড়ি ব্যবহার করে প্লাবিত আন্ডারপাস থেকে মানুষজনকে নিরাপদ এলাকায় তুলে আনতে দেখা গিয়েছে। সানলিউরফার অবস্থা এতটাই খারাপ যে হাসপাতালগুলি থেকেও রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রবল জলরাশির চাপে এই প্রদেশের একটি হাইওয়ের কিছু অংশও ধসে গিয়েছে। তুরস্কের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, দুই প্রদেশেই ডজনখানেক পেশাদার ডুবুরিকে উদ্ধার অভিযানে কাজে লাগানো হচ্ছে।

৬ ফেব্রুয়ারি একটি ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্ক। অন্তত ৫৫,৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়, ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন। হাজার হাজার ভবন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। বর্তমানে হাজার হাজার মানুষের আশ্রয় হয় তাঁবু, নাহলে কন্টেইনার হোম। এরই মধ্যে বন্যার বিপর্যয় পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলল।