550 KG pumpkin: বাগানে ফলান ৫৫০ কেজির কুমড়ো, তা কেটে নৌকা বানিয়ে ৭০ কিমি নদীপথ পেরিয়ে গিনেস বুকে নাম তুললেন গ্যারি

550 KG pumpkin: ওয়াশিংটনের কলম্বিয়া নদীতে গত ১১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করেন গ্যারি। ২৬ ঘণ্টার এই যাত্রাপথকে স্মরণীয় করে রাখতে নৌকায় একটি ক্যামেরা লাগান। যাঁরা নদীতে তাঁকে এভাবে যেতে দেখবেন, তাঁরা যাতে বুঝতে পারেন যে এটা আসলেই একটা কুমড়ো, সেজন্য নৌকার গায়ে লিখে রাখেন, 'এটা সত্যিকারের কুমড়ো'।

550 KG pumpkin: বাগানে ফলান ৫৫০ কেজির কুমড়ো, তা কেটে নৌকা বানিয়ে ৭০ কিমি নদীপথ পেরিয়ে গিনেস বুকে নাম তুললেন গ্যারি
কুমড়োর তৈরি নৌকায় সফর
Follow Us:
| Updated on: Nov 03, 2024 | 8:14 PM

ওয়াশিংটন: স্বপ্ন ছিল নিজের বাগানে বড় কুমড়ো ফলানোর। সেই কুমড়োকে নৌকার মতো ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। অবশেষে গ্যারি ক্রিসটেনসেন নামে আমেরিকার ওই ব্যক্তির সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বাগানে ৫০০ কেজির বেশি ওজনের কুমড়ো ফলিয়েছেন। আর সেই কুমড়োকে নৌকার মতো ব্যবহার করে ৭৩.৫ কিমি নদীপথ পেরিয়েছেন। নাম তুলেছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।

বছর ছেচল্লিশের গ্যারি স্বপ্ন দেখতেন, নিজের বাগানের কুমড়োকে নৌকার মতো ব্যবহার করবেন। ২০১১ সাল থেকে বড় কুমড়ো ফলাতে শুরু করেন তিনি। ২০১৩ সালে প্রথম কুমড়োকে নৌকার মতো বানান। কিন্তু, নদীতে সেই নৌকায় চেপে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সেই স্বপ্নই পূরণ হয়েছে। এবছর তাঁর বাগানে সাড়ে ৫০০ কেজির বড় ওজনের কুমড়ো ফলেছে। কুমড়োটির আয়তন প্রায় ১৪ ফুট। সেই কুমড়োকে নিজের হাতে নৌকার মতো বানিয়েছেন। কুমড়োর তৈরি নৌকার নাম দেন ‘পানকি লোফস্টার’।

ওয়াশিংটনের কলম্বিয়া নদীতে গত ১১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করেন গ্যারি। ২৬ ঘণ্টার এই যাত্রাপথকে স্মরণীয় করে রাখতে নৌকায় একটি ক্যামেরা লাগান। যাঁরা নদীতে তাঁকে এভাবে যেতে দেখবেন, তাঁরা যাতে বুঝতে পারেন যে এটা আসলেই একটা কুমড়ো, সেজন্য নৌকার গায়ে লিখে রাখেন, ‘এটা সত্যিকারের কুমড়ো’। তবে তাঁর নিরাপত্তার জন্য গ্যারির পিছন পিছন নৌকা আসছিল। রাতেও বিশ্রাম নেননি গ্যারি। কারণ, তাঁর মনে হয়েছে, বেশি সময় গেলে কুমড়ো যদি ফুটো হয়ে যায়।

এই খবরটিও পড়ুন

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলার পর গ্যারি বলেন, “অনেকদিন ধরেই কুমড়োর তৈরি নৌকায় নদীপথ পেরোনোর স্বপ্ন দেখতাম। এবছর একটা উপযুক্ত কুমড়ো ফলানোর পর এই যাত্রা শুরুর সিদ্ধান্ত নিই।” নদীপথে এই যাত্রার অভিজ্ঞতা নিয়ে গ্যারি বলেন, “একটু নার্ভাস লাগলেও খুব উত্তেজিত ছিলাম। যদি এই রেকর্ড না-ও হত, তাহলেও আমার কাছে এটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকত।”