নিউ ইয়র্ক: ক্রিসমাস-মরশুমেও বিপর্যস্ত আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রবল তুষারঝড়ের দাপটে এখনও অন্ধকারে ডুবে রয়েছে আমেরিকার বিস্তীর্ণ এলাকা। তাপমাত্রার পারদ নেমে গিয়েছে মাইনাস ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গরম জলও মুহূর্তের মধ্যে জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। আছড়ে পড়ছে ‘বম্ব সাইক্লোন’। বইছে হিমশীতল তুষারঝড়। যার ফলে ‘ফ্রস্টবাইট’ শুরু হয়েছে। এর জেরে ইতিমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে বাতিল করা হয়েছে বহু বিমান। সবমিলিয়ে, বড়দিনের সময় বিধ্বস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘটনায় সতর্কতা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডো বিডেন।
শুক্রবারই আমেরিকার উত্তর ও দক্ষিণ ডাকোটা, ওকলাহোমা, আইওয়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আছড়ে পড়েছে তুষারঝড়। মিনিয়াপোলিস, শিকাগো এবং মিশিগানেও তুষারঝড় আছড়ে পড়ে। ওই তুষারঝড়ের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, সেটিকে ‘বম্ব সাইক্লোন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার জেরে প্রায় ১৫ লক্ষ বাড়িতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা গিয়েছে। বলা যায়, অন্ধকারে ডুবে যায় আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ক্রিসমাস-ইভেও এই অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন ঘটেনি। এখনও স্কুল-কলেজ থেকে বহু বাড়িতে বিদ্যুৎ আসেনি।
মার্কিন আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহ জুড়েই বইবে এই তুষারঝড়। ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে এই ঝড় ঘুরবে। এই সময় বায়ুর চাপ কম থাকে। বায়ুর চাপ যত কম থাকে, ততই তুষারঝড়ের তীব্রতা বেশি। তাই এটিকে বম্ব সাইক্লোন বলে। টানা বম্ব সাইক্লোনের জেরে ‘ফ্রস্টবাইট’ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ তাপমাত্রা অত্যন্ত কমে গেলে দেহে রক্ত চলাচল কমে যায়। ফলে উষ্ণ রক্তের অভাবে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেধে যায়। তখন নাক, গাল, হাত, পায়ের আঙুলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। একেই ‘ফ্রস্টবাইট’ বলে। সবমিলিয়ে, বড়দিনের সময়ও বিপর্যস্ত আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।