Doomsday Plane: পরমাণু বিকিরণও ক্ষতি করতে পারে না! আমেরিকায় নামল Doomsday Plane, আজই বড় কিছু হবে?
Iran-Israel Conflict: বোয়িং ই-৪বি বা 'ডুমসডে প্লেন' তৈরির পিছনে উদ্দেশ্যই ছিল পারমাণবিক যুদ্ধের সময় এটিকে ফ্লাইং কমান্ড সেন্টারে রূপান্তর করা। যাতে মার্কিন সেনারা বা উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আকাশপথেই নিজেদের রণকৌশল স্থির করতে পারে।

ওয়াশিংটন: ইরান-ইজরায়েলের সংঘাতের তাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দুই দেশই একে অপরকে ধ্বংস করতে উদ্যত। এর মাঝে আবার নাক গলাচ্ছে আমেরিকা। অভিযোগ, গোপনে ইজরায়েলকেই মদত দিচ্ছে আমেরিকা। এর চরম মূল্য চোকাতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইরান। সরাসরি আমেরিকার সঙ্গে এবার সংঘাতে জড়াতে পারে ইরান, এই আশঙ্কার মধ্য়েই এবার আমেরিকার আকাশে দেখা গেল “ডুমসডে প্লেন”।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন নিকটবর্তী বায়ু সেনাঘাঁটিতে অবতরণ করেছে “ডুমসডে প্লেন”। ৯/১১ এর টুইন টাওয়ার ধ্বংস হওয়ার পর শেষবারের মতো এই বিমান অবতরণ করেছিল। আবার হঠাৎ এই বিমান দেখা দেওয়াতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, আমেরিকাও কি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে?
জানা গিয়েছে, এয়ারফোর্সের স্পেশালাইজড বোয়িং ই-৪বি এয়ারক্রাফ্ট লুইসিয়ানার বার্কসডেল সেনা বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে আকাশে প্রায় ৪ ঘণ্টা পাক দেয়। ভার্জিনিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনার সীমান্তের উপর দিয়ে ঘুরে অ্যান্ড্রুজ জয়েন্ট বেসে অবতরণ করেছে।
বোয়িং ই-৪বি বা ‘ডুমসডে প্লেন’ তৈরির পিছনে উদ্দেশ্যই ছিল পারমাণবিক যুদ্ধের সময় এটিকে ফ্লাইং কমান্ড সেন্টারে রূপান্তর করা। যাতে মার্কিন সেনারা বা উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আকাশপথেই নিজেদের রণকৌশল স্থির করতে পারে।
ডুমসডে বিমানের বিশেষত্ব হল, পারমাণু বিস্ফোরণ থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গও এই বিমানকে প্রভাবিত করতে পারে না। এটির একটি বিশেষ শিল্ডিং সিস্টেম রয়েছে যা এর ভিতরে বসে থাকা লোকজনকে বাইরের তাপ এবং পরমাণু বোমার বিকিরণ থেকে রক্ষা করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে ইরানকে চোখ রাঙাচ্ছেন, সরাসরি হামলা করতে পারেন বলে উসকাচ্ছেন, সেখানে এই ডুমসডে বিমানের গতিবিধি উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

