Vladimir Putin: ভারতের ওপর আরও নির্ভরশীল পুতিনের রাশিয়া? জোরাল নতুন জল্পনা

Russia-Ukraine Conflict: পুরনো বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছিল নয়া দিল্লি। এই অবস্থায় আরও বেশি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন রাশিয়ান জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে ভারতের ওপর রাশিয়ার নির্ভরতা আরও বাড়তে পারে।

Vladimir Putin: ভারতের ওপর আরও নির্ভরশীল পুতিনের রাশিয়া? জোরাল নতুন জল্পনা
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2022 | 7:40 PM

মস্কো: ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরুর পর থেকেই গোটা বিশ্বের কাছে ‘ভিলেন’ হয়ে গিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী দেশগুলি আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রমাগত রাশিয়াকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। তবে আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মাথানত না করে রাশিয়ার বিরোধী অবস্থানের পথে হাঁটেনি ভারত। পুরনো বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছিল নয়া দিল্লি। এই অবস্থায় আরও বেশি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন রাশিয়ান জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে ভারতের ওপর রাশিয়ার নির্ভরতা আরও বাড়তে পারে। তবে শুধুমাত্র ভারতই নয়, চিনের ওপরও রাশিয়ার নির্ভরতা বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ তেল কিনত, এশিয়ার একমাত্র ভারত ও চিনেরই সেই পরিমাণ তেল কেনার সামর্থ রয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল না কেনার বিষয়ে সহমত হয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে বছরে রাশিয়ায় রফতানি শুল্কে ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে।

যদিও রাশিয়ান ক্রুড ওয়েল ব্র্যান্ড ইউরোপে বেশ জনপ্রিয় ছিল, সেই ঘাটতি এশিয়া থেকে মেটানো অনেকটা কঠিন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল, কারণ ইউরোপ রাশিয়ার থেকে যে পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনত এশিয়াতে সেই পরিমাণ তেল কেনার মতো কোনও ক্রেতা নেই। শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলিতে ক্রুড ওয়েলের চাহিদা থাকলেও সেখানে সালফিউরিক জাতীয় তেল মিশ্রন এবং পরিশোধনের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত নেই। তবে ভারত, চিনের মতো এশিয়ার মহাশক্তিধর দেশ গুলির ওই জাতীয় তেল পরিশোধনের পরিকাঠামো রয়েছে সেই কারণে রাশিয়া এখন অনেকটাই এই দেশগুলির ওপর মুখাপেক্ষী।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে চিনের সাংহাইতে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন পরিস্থিতি থাকলেও এখন সেখানে লকডাউন উঠে গিয়েছে। সেই কারণে চিনেও তেলের চাহিদা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে কারণ সেখানকার বেসরকারি তেল পরিশোধন কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত তেল শোধনের বন্দোবস্ত রয়েছে। রাশিয়া এখন এই এশিয়ান দেশগুলিতে আরও বেশি তেল বিক্রির জন্য কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার।