India-US Relation: মোদীর অবস্থানেই কি সুর বদল? রাশিয়াকে সরিয়ে ভারতের ‘পরম বন্ধু’ হতে চায় আমেরিকা!
Narendra Modi: বুধবার হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, আমেরিকার ভারতকে শক্তি আমাদানিতে সাহায্য করতে পারে। রাশিয়ার বিকল্প হিসেবে আমেরিকা যে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে, এই বার্তা থেকেই তা স্পষ্ট বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ওয়াশিংটন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে প্রথম থেকেই ভারত শান্তি ও আলোচনার কথা জানিয়েছিল। গোটা বিশ্বে এই যুদ্ধের জন্য যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল, তখন মস্কোর বিরোধিতার রাশিয়া বেছে নেয়নি নয়া দিল্লি। এমনকী রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার সমর্থনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে একাধিকবার ভোট দানে বিরত ছিল ভারত। বলা বাহুল্য রাশিয়া নিয়ে ভারতের এই অবস্থান ভালভাবে নেয়নি আমেরিকা, খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই ইস্যুতে ভারতে কটাক্ষ করেছিলেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার থেকে অত্যন্ত কম দামে জ্বালানি পাবে ভারত। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কড়া বার্তা ছিল, তাসত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্কে কোনও ভাঁটা পড়েনি। সম্প্রতি ভারত সফররত রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বার্তা ছিল একদম পরিষ্কার, মার্কিন চাপের কাছে মাথা নোয়াবে না ভারত। তবে ভারতের এই অনমনীয় মনোভাবের কারণেই কি এবার অবস্থান বদল করছে আমেরিকা? ইঙ্গিত অনেকটা সেই রকমই।
বুধবার হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, আমেরিকার ভারতকে শক্তি আমাদানিতে সাহায্য করতে পারে। রাশিয়ার বিকল্প হিসেবে আমেরিকা যে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে, এই বার্তা থেকেই তা স্পষ্ট বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে যেভাবে ক্রুড ওয়েলে দাম বাড়ছে, তাতে অন্যান্য দেশগুলির মতো ভারতেও জ্বালানির দাম উর্ধ্বমুখী। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোদী নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার রাশিয়ার থেকে বাড়তি ছাড়ে তেল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, স্বাভাবিকভাবেই এই পদক্ষেপ পছন্দ করেনি আমেরিকা। এই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “আমরা মনে করি না ভারতের রাশিয়া থেকে শক্তি বা অন্যান্য পণ্য আমদানিকে ত্বরানিত্ব করা উচিৎ। আমি খুব স্পষ্ট করেই বলতে চাই আমেরিকা ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। আমরা তাদের বিশ্বাসযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত। যদিও ভারতে মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে।” আমেরিকার বরবারই রাশিয়া-ইউক্রেনে ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারতে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে পুরানো বন্ধুকে কোনওভাবেই ভুলে যেতে রাজি নয় নয়াদিল্লি। কারণ অতীতেও বিপদের দিনে রাশিয়া ভারতে পাশে থেকেছে। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।