AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Modi-Biden Meeting: ‘আরও কাছাকাছি আসুক ভারত’, আবদার বাইডনের! ‘বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে সম্পর্কের ভীত’, হাসিমুখে উত্তর মোদীর

Modi-Biden Meeting:বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছিল করোনায় মৃত্যুর আসল পরিসংখ্যান চেপে গিয়েছে ভারত। কিন্তু, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসে করোনা মোকবিলায় ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।

Modi-Biden Meeting: ‘আরও কাছাকাছি আসুক ভারত’, আবদার বাইডনের! ‘বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে সম্পর্কের ভীত’, হাসিমুখে উত্তর মোদীর
ছবি - দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হল?
| Edited By: | Updated on: May 24, 2022 | 5:48 PM
Share

টোকিও: সামরিক ক্ষেত্রে হোক বা অন্যান্য রাজনৈতিক ইস্যু, ট্রাম্প জমানায় বরাবরই মোদী সরকারের (Modi Government) সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল আমেরিকার (America)। এমনকী আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে ভারত সরকারের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল মার্কিন প্রশাসনকে। তবে, জো বাইডেন মসনদে বসার পরেও শেই সম্পর্ক অটুট থাকবে আশা করা হলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই তা খানিক জল পড়ে। এমনকী লাগাতার মার্কিন হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি আওয়াজ তোলেনি দিল্লি। উল্টে বজায় রেখেছিল নিরপেক্ষ অবস্থান। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতর তৈরি হয়। এমনকী অনেকেই ভাবতে শুরু করেন তবে কী ফের সম্পর্কের পারাপতন শুরু হল ভারত-আমেরিকার সম্পর্কের? যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে জাপানে কোয়াড বৈঠকে যোগ দিয়েই ভারত-আমেরিকার সম্পর্কের রসায়ন মজবুত করতে নয়া বার্তা দিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। 

এদিকে করোনা ধাক্কায় বিগত ২ বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে সমস্ত বৈঠকই হয়েছে কার্যত ভার্চুয়ালী। এমতাবস্থায় এবার জাপানে বাইডেন-মোদীর একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জোর চর্চা চলছিল বিগত কয়েকদিন ধরে। কোয়াড বৈঠকের পর দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয় সে দিকেও নজর ছিল সকলের।সূত্রের খবর, করোনা যুদ্ধে ভারত যে ভাবে টিকাকরণে দ্রুত সাফল্যের মুখ দেখেছে তা নিয়ে মোদীর দরাজ প্রশংসা করেছেন বাইডেন। এমনকী ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বকে এক নতুন মাত্রা দিতেও চান বাইডেন। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘পৃথিবীর সবথেকে কাছের সম্পর্ক’ করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi) কথায় পুরোটাই দাঁড়িয়ে ‘বিশ্বাসের ভীতের’ উপরের।

টিকা উৎপাদন থেকে, ক্লিন এনার্জি উদ্যোগেও ভারত-আমেরিকা একযোগে বড় সাফল্যের মুখ দেখতে পারে বলে মত বাইডেন। সেই সঙ্গে মার্কিন ডেভলেপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তির কথাও নতুন করে তুলে আনেন বাইডেন। মার্কিন প্রধানের কথায়, আমরা ভারত-আমেরিকা ভ্যাকসিন অ্যাকশন প্রোগ্রাম পুনর্নবীকরণ করছি। একইঙ্গে এখন এমন অনেক কিছু আছে যা ভারত-আমেরিকা একসঙ্গে করতে পারে, যা অনেকটাই এখন হচ্ছে, আগামীতেও হবে। একই সুর শোনা গিয়েছে মোদীর গলাতেও। তাঁর কথায়,  “ বর্তমানে বাস্তবের মাটিতে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য সহ একাধিক ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আরও উন্নত হয়েছে। বিশ্বের একাধিক ইস্যুতে দুই দেশ সর্বদা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রেও দুই দেশ একই মনোভাব পোষণ করে। আগামীতে এই অঞ্চলের শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রেও আমরা একযোগে কাজ করব। ”