নয়া দিল্লি: হঠাৎ করেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে প্রতিটি বাড়ির বসার ও শোওয়ার ঘরগুলি। বিকেল হলেই আর শোনা যাচ্ছে না জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলির টাইটেল ট্রাক বা খবর চ্যানেলগুলিতে রাজনৈতিক নেতা-সঞ্চালকের মধ্যে তরজা। কারণ ঘরে ঘরে বন্ধ অধিকাংশ কেবল চ্যানেল। জি, স্টার, সোনির মতো বড় বড় সংস্থা, যাদের একাধিক চ্যানেল রয়েছে, তারা আচমকাই কেবল অপারেটরদের পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আচমকাই বিভিন্ন চ্যানেলের পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে প্রায় ৫ কোটি গ্রাহক প্রভাবিত হয়েছে। বড় বড় ব্রডকাস্ট সংস্থার সঙ্গে কেবল অপারেটরদের ট্রাই-র নতুন ট্যারিফ নিয়ে বিরোধের কারণেই এই সমস্যা দেখা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে টেলিকম রেগুলেটরি অথারিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে নতুন ট্যারিফ প্ল্যান আনা হয়। এতে একাধিক চ্যানেল বাবদ খরচ একধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রাই-র তরফে জানানো হয়েছিল, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নতুন ট্যারিফ প্ল্যান চালু করা হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নতুন দাম বা ট্যারিফ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ কেবল অপারেটরদের দাবি, তারা এই টেলিভিশন চ্যানেলের প্যাকেজ বৃদ্ধি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। হঠাৎই বড় ব্রডকাস্টিং সংস্থা, যেমন জি, স্টার ও সোনির তরফে তাদের চ্যানেল বাবদ ফি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়। কেবল অপারেটররা এই নির্দেশিকা মানতে নারাজ হওয়ার কারণেই সংস্থাগুলি তাদের ফিড কেবল অপারেটরদের দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
ট্রাই-র তরফে একাধিক চ্যানেলের রিটেল মূল্য ১২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯ টাকা করা হয়েছে। যদি কেবল অপারেটররা ব্রডকাস্টারদের শর্ত মেনে নেন, তবে গ্রাহকদের মাসিক যে প্যাকেজ রয়েছে, তার দাম ন্যূনতম ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। অর্থাৎ গ্রাহকদের ন্যূনতম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে।