AI: কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের মাথাকে টেক্কা দিতে পারবে না Artificial Intelligence?
Artificial Intelligence: আগামীতে কি কারও চাকরি থাকবে না? সব কাজই করে ফেলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা? আসলে ভাল করে দেখলে দেখা যাবে, এমন অনেক কাজ রয়েছে যা চাইলেও কোনও দিন করতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

বর্তমানে ‘ঘোর বাস্তব’-এ পরিণত হয়েছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর সময় যত এগোচ্ছে মানুষের মনে চাকরির ভবিষ্যত নিয়ে বাড়ছে সংশয়। কারণ, এমন অনেক কাজ রয়েছে যা মানুষের করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়, সেই কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা করে দিচ্ছে কয়েক মিনিটে। যেমন ধরুন কোনও গ্রাফিক্যাল ছবি বানানো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সঠিক প্রম্পট দিয়ে বুঝিয়ে দিলেই হল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে পুরো গ্রাফিক্স বানিয়ে হাজির করবে মুখের সামনে।
তাহলে আগামীতে কি কারও চাকরি থাকবে না? সব কাজই করে ফেলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা? সত্যিই কি তাই? আসলে ভাল করে দেখলে দেখা যাবে, এমন অনেক কাজ রয়েছে যা চাইলেও কোনও দিন করতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যেমন আবেগ বা অনুভূতি নেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। ফলে এমন অনেক কাজ রয়েছে যা আবেগ দিয়ে করতে হয়, সেখানে মানুষ বলে বলে দশ গোল দেবে এআইকে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোনও অন্তর্দৃষ্টি নেই। ফলে কোনও বিষয়কে বিশ্লেষণ করে আবেগের মাধ্যমে কোনও মানুষ যা করতে পারে, এআই কোনও দিনও করতে পারবে না। সামাজিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করে তাৎক্ষণিক কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর এই সব কারণে অনেক কাজ সে করতে পারবে না।
যে কোনও শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত মানুষের কাজ করতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বা করতে পারলেও তাতে আবেগ বা অনুভূতি মেশাতে পারবে না সে। এআই কখনও সঠিক শিক্ষক হতে পারবে না। কারণ ছাত্রছাত্রীদের শুধুমাত্র পড়ানো নয়, শিক্ষকরা তাদের মনের বিকাশেও সাহায্য করেন। আর সেই কাজেই শূন্য পাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
মনোবিজ্ঞানী বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ যেমন হতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তেমনই সাধারণ চিকিৎসকও হতে পারবে না সে। এ ছাড়াও গবেষণা, তদন্ত বা সাংবাদিকতার মতো কাজও করতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
