Baba Ramdev Slams US: আমেরিকার অর্থনৈতিক ‘সন্ত্রাস’! ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ বাবা রামদেবের!
Patanjali, Baba Ramdev: সাম্রাজ্যবাদী নীতিই কি সংঘাতের কারণ? বাবা রামদেব আমেরিকার বর্তমান নীতিকে 'সাম্রাজ্যবাদী' এবং তারা এই সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ করছে বলে আক্রমণ করেছেন। এই 'অর্থনৈতিক যুদ্ধকে' তিনি তুলনা করেছেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে। তাঁর কথায়, 'ট্যারিফ হলো সন্ত্রাস, এটা খুব বিপজ্জনক'।

আমেরিকার বাণিজ্য নীতি নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে চর্চা চলছে, তখনই এই বিশফোরক মন্তব্য করেছেন পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাবা রামদেব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে তিনি সরাসরি ‘সন্ত্রাস’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধকে’ তিনি তুলনা করেছেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘ট্যারিফ হলো সন্ত্রাস, এটা খুব বিপজ্জনক’।
সাম্রাজ্যবাদী নীতিই কি সংঘাতের কারণ? বাবা রামদেব আমেরিকার বর্তমান নীতিকে ‘সাম্রাজ্যবাদী’ এবং তারা এই সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ করছে বলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, যদি হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ বিশ্বের ক্ষমতা ও সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করেন, তবে বিশ্বে কেবল বৈষম্য, অবিচার, শোষণ এবং সংঘাতই ছড়াবে। তিনি সকলকে নিয়ে, সকলের সঙ্গে হাঁটার বার্তা দিয়েছেন।
অর্থনৈতিক যুদ্ধের জবাব ‘স্বদেশী’ মন্ত্রে!
এই কঠিন অর্থনৈতিক যুদ্ধের জবাব কোথায়? রামদেব এর উত্তর দিয়েছেন ‘স্বদেশী’ দর্শনে। তাঁর মতে, স্বদেশী শুধু ঘরোয়া পণ্য কেনা নয়। এর মূল নীতি হল সমাজের সব শ্রেণির মানুষেরও উত্থান। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, মহর্ষি দয়ানন্দ থেকে বিবেকানন্দ পর্যন্ত অনেকেই এই স্বদেশী ধারণার পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছেন। এই দর্শনই দেশকে আত্মনির্ভর করবে।
ভারত-আমেরিকা কেন দ্বন্দ্বে?
আমেরিকা এই মুহূর্তে ভারতের পণ্য আমদানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে। আমেরিকা বলছে এই বিপুল শুল্কের মূল কারণ দুটি, একটি হল বাণিজ্যিক ভারসাম্য, অন্যটি হল ভারতের রুশ তেল আমদানি।
ভারতের সার্বভৌম জবাব তবে, এই চাপানউতোরের মাঝেও ভারত তার অবস্থান স্পষ্ট রেখেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, জ্বালানি সুরক্ষার স্বার্থে নিজেদের আমদানি নীতি নির্ধারণ স্ব-ইচ্ছায় করবে ভারত। বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার মধ্যে ভারতীয় গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করাই সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যা এই ৫০ শতাংশ শুল্ক হয়তো কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে।
ভবিষ্যতের পথ ভারত এই ট্যারিফ-ঝুঁকি মোকাবিলায় টেক্সটাইল, জেম অ্যান্ড জুয়েলারির মতো গুরুত্বপূর্ণ রফতানি খাতগুলিতে বিকল্প বাজারের দিকে ঝুঁকছে। স্বনির্ভরতার দর্শন এবং বাজারের বৈচিত্র্য— এই দুই পথেই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারত।
