নয়া দিল্লি: ব্যাঙ্কের কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল চেক বই। সেই চেক বুকে সই করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম আছে। প্রতিটি অ্যাকাউন্টধারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্য। সঠিক তথ্য না থাকলে বড় ধরনের প্রতারণার শিকারও হতে পারেন গ্রাহকেরা। এমন অবস্থায় কোথায় সই করবেন? কোন পরিস্থিতিতে একটি সই করা চেক কারও হাতে দেবেন? এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একটি চেকের পিছনে সই করার সময় মনোযোগ দিতে হবে
একটি চেক হল নগদ টাকা উত্তোলনের একটি লিখিত গ্যারান্টি। অর্থাৎ এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে প্রদানের লিখিত নির্দেশ। লেনদেনের ক্ষেত্রে পরিচালনার একটি নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং সুবিধাজনক উপায় হিসেবেই বিবেচিত হয় চেক বুক। ব্যাঙ্কের ভাষায় চেকের পিছনে স্বাক্ষর করার একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে। সব ধরনের চেকের পিছনে সই করতে হয় না। শুধুমাত্র বিয়ারার্স চেকের পিছনেই সই করার প্রয়োজন পড়ে। বিয়ারার্স চেক তাকেই বলে যা ব্যাঙ্কে জমা করা হয় এবং তাতে কোনও ব্যক্তির নাম থাকে না। সেই চেকের সাহায্যে যে কেউ ব্যাঙ্ক থেকে নগদ তুলতে পারেন।
চেকের নিয়ম গুলি জানুন
সই নেই এমন একটি চেক অবৈধ বলে বিবেচিত হয়।
একটি চেক ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে তিন মাসের জন্য বৈধ থাকে।
চেকের নীচে একটি ৯ সংখ্যার এমআইসিআর কোড রয়েছে, যা চেক ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করে।
চেকের ক্ষেত্রে টাকা শব্দ এবং অঙ্ক উভয়েই লিখতে হবে।
চেকের ড্রয়ারকে অবশ্যই ওভাররাইট না করে চেকে স্বাক্ষর করতে হবে।
প্রাপকের নাম চেকে সঠিকভাবে লিখতে হবে।