LIVE: তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য যে কেউ দরপত্র দিতে পারেন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজেপিকে ভোট দিয়ে বদলা নেবে আমজনতা : শাহ 

যে মার্কিন অগর মেশিন দিয়ে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের দিক থেকে খননের কাজ করা হচ্ছিল, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেই যন্ত্রটিতে ফের প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই থমকে গিয়েছে উদ্ধার অভিযান। শুক্রবার সকালে আবার এই কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যে প্ল্যাটফর্মের উপর যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়েছিল, সেটিতে ফাটল ধরা পড়েছে।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাংলার ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করে, আপনি কোন মতবাদে বিশ্বাস করেন। আমি তাদের বলি যে আমি ডানপন্থা বা বামপন্থায় বিশ্বাস করি। আমি শুধু একটা মতবাদেই বিশ্বাস করি, সেটা হল মানবতা। আমি কোনও ভিআইপি ন‌ই আমি এলআইপি। লেস ইম্পরট্যান্ট পার্সন।

অতিথিদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  আমি আপনাদের মত ভাল ইংরেজি বলতে পারিনা, আমি বাঙালি। তবে আমি হিন্দি, মারাঠি, পঞ্জাবি, উর্দু ভাষাতেও অল্প অল্প কথা বলতে পারি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও বলেন, বাংলা সম্পর্কে বলা হয় এই রাজ্য অশান্ত জায়গা। আসলে এটা রাজনৈতিক দলগুলির অপপ্রচার।

তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য যে কেউ দরপত্র দিতে পারেন। বললেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। এই বন্দর প্রকল্পের জন্য আদানি গোষ্ঠীকে লেটার অব এক্সপ্রেসন দেওয়া হয়েছিল। তবে কি এই প্রকল্প থেকে সরে যাচ্ছেন আদানি গোষ্ঠী?

আমাদের রাজ্যে এই মুহর্তে ৬০২ টি এমএসএমই ক্লাস্টার রয়েছে। আমরা ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করতে পেরেছি। কেউ এখানে ব্যবসা করতে চাইলে জমি তৈরি আছে। লিজ হোল্ড জমি এখন থেকে ফ্রি হোল্ড করে দেওয়া হয়েছে।

ষষ্ঠ বাণিজ্য সম্মেলনে ১৯ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এসছিল। এর ৮০ শতাংশই বিনিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে।

সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরাই এক নম্বর। ৯৫ শতাংশ মানুষকে আমরা বিনামূল্যে রেশন দিই। লক্ষীর ভান্ডার পাচ্ছন মহিলারা, তা দিয়ে তারা নিজেদের পকেট খরচ করতে পারেন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পুরো ফ্রি।

আমাদের ডিভাইড এন্ড রুল পলিসি নেই। কারও মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আমি গর্বিত যে, ৩৫-র বেশি দেশ আজকের এই শিল্প সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলা শিল্প-সংস্কৃতির পিঠস্থান, মহিলাদের ক্ষমতায়নের জায়গা। ১৭টি দেশ আমাদের বাণিজ্য সম্মেলনের অংশিদার হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অবস্থানগত সুবিধার জন্য পশ্চিমবঙ্গ ক্রমে একটি লজিস্টিক্যাল হাবে পরিণত হচ্ছে। এই অবস্থায় ওয়েস্ট বেঙ্গল লজিস্টিকস পলিসি, ২০২৩ গ্রহণ করা হল। এর পাশাপাশি গ্রহণ করা হল, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্টারনেট কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন পলিসি, ২০২৩ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্ট প্রোমোশন পলিসি, ২০২৩।

রিলায়েন্সের অন্যতম বড় লগ্নির জায়গা বাংলা বলে জানান মুকেশ অম্বানী। এই রাজ্যে প্রায় ৪৫,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে রিলায়েন্স বলে দাবি করেন তিনি। পরের ৩ বছরে বাংলায় আরও অতিরিক্ত ২০,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করতে চান তিনি।

অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, তাইওয়ানকে এশিয় বাঘ বলা হয়। কিন্তু বাংলা এখন এতটাই ক্ষিপ্র, যে, অদূর ভবিষ্যতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, এই সকল বাঘকে ছাপিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করলেন মুকেশ অম্বানী।

বাংলার জিডিপি বৃদ্ধির হার জাতীয় হারের থেকে বেশি, রাজস্ব সংগ্রহ তিনগুণ হয়েছে, আইটি এক্সপোর্টের পরিমাণও বেড়েছে এবং ব্যবসা করার খরচ অনেক কম বলে উল্লেখ করেন রিলায়েন্সের চেয়ারপার্সন।

রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন মুকেশ অম্বানী জানান, শেষবার ২০১৯ সালে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গত চার বছরে বাংলার বৃদ্ধির গতি অনেকটা বেড়েছে। আর এর পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর উল্লেখ করে মুকেশ অম্বানী বলেন, ‘দিদি আপনি সত্যিই অগ্নিকন্যা।’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএমএস করলে সব সময়ই ১ মিনিটের মধ্যে উত্তর পাওয়া যায়। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে এমনটাই জানালেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে যে ভালবাসা তিনি পেয়েছেন, তা তাঁর হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। সৌরভ জানান, অনেক সময় টিভিতে আমার ছবি দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমায় জিজ্ঞেস করেন, ‘খাওয়া দাওয়া করছ না?’ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মমতাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

পণ্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিবনাথ দেব বলেছেন, “যুব-কিশোরদের মানসিক বিকাশ নিয়ে অন্যদের কথা শুনব এবং নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। এটা একটা নিজেদের অভিজ্ঞতা আদান প্রদানের মঞ্চ।”

বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে এসে জিবিকে গ্রুপের ঊষা রেড্ডি বললেন, ‘আমি একজন শিক্ষাবিদ। কোয়ালিটি অব এডুকেশন নিয়ে কথা বলার জন্য এসেছি। প্রযুক্তির কী প্রভাব শিক্ষাব্যবস্থার উপরে পড়ছে তা নিয়ে কথা বলব। আমাদের প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে দেখুন। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স থেকে স্টুডেন্টস ইন্টেলিজেন্স সবসময় এগিয়ে ছিল।”

বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিলেন বিজেডি সাংসদ তথা কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সামন্ত। তিনি বলেন, “বাাংলায় খুব ভাল কাজ করছেন মমতা দিদি। আমাকে আমন্তরণ জানানোর জন্য আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। বাংলার সব কিছুই উচ্চগতিতে চলছে। শিক্ষাও উচ্চগতিতে চলছে। এখনই বাংলায় লগ্নির কোনও ভাবনা নেই, তবে, আমাদের ইনস্টিটিউটে বাংলার অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।”

বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে কলকাতা এসে পৌঁছলেন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চ্যাং-জে বোক। তাঁকে স্বাগত জানালেন রাজ্যের প্রতিনিধি।

বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এল্লিস।

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে কলকাতায় এসে পৌঁছলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. দেবী শেঠি।