China-USA-এর সামনে দাদাগিরি, নতুন Space Station মডেল প্রকাশ করল ISRO! বাড়বে ভারতের আয়ের পথ?
Bharatiya Antariksh Station: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই ঘোষণা করেছেন ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করবে ভারত। আর ২২ অগস্ট নয়া দিল্লিতে সেই স্পেস স্টেশনের মডেল প্রকাশ করল ইসরো।

সময়ের সঙ্গে মহাকাশ যাত্রাতেও এগিয়ে চলেছে আমাদের দেশ। ইসরো বারে বারে প্রমাণ করে দিয়েছে তারা কী পারে। পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় অনেক কম খরচে রকেট উৎক্ষেপণ করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা। একটি রকেটে সর্বাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের রেকর্ডও রয়েছে ইসরোর কাছে। চন্দ্রযান ৩ ইতিমধ্যেই তৈরি করেছে ইতিহাস। সূর্যের দিকে পাড়ি জমিয়েছে আদিত এল ১। এ ছাড়াও আগামীতে রয়েছে ‘গগনযান’ মিশন। আর এবার তাদের সামনে নতুন লক্ষ্য। মহাকাশে নতুন এক স্পেস স্টেশন স্থাপন করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই ঘোষণা করেছেন ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করবে ভারত। আর ২২ অগস্ট নয়া দিল্লিতে সেই স্পেস স্টেশনের মডেল প্রকাশ করল ইসরো। এর নাম হবে BAS বা ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন। ইতিমধ্যেই ভারতের মহাকাশ সংস্থা অন্য দেশের কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে। আর মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি হলে, সেখান থেকেও কি উপার্জন করতে পারবে ইসরো?
আসলে এই বিষয়ে কোনও তথ্য সাধারণের জন্য উন্মুক্ত নেই। তবে কিছু হিসাব করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন বছরে ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৬২০ কোটি টাকা থেকে ৪ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকার মধ্যে উপার্জন করতে পারে ইসরো। আবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইঞ্জিন চ্যাট জিপিটি বলছে বছরে ৩০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৬২০ কোটি টাকা থেকে ৮ হাজার ৭৩০ কোটি টাকার মধ্যে উপার্জন করতে পারে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাসা ও ইসরোর যৌথ উদ্যোগে কৃত্রিম উপগ্রহ নিসার পাড়ি দিয়েছে মহাকাশে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮৮ কোটি টাকা দিয়েছে ইসরো। আপাতত দৃষ্টিতে এই উপগ্রহ তৈরিতে অনেক খরচ হলে টা আগামীর জন্য অনেক উপকারী হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর উপগ্রহের ফলে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সম্ভাবনার কথা জানাবে এই উপগ্রহ। ফলে রক্ষা পাবে মানবসম্পদ ও দেশের সম্পদ।
