AEPS: আধারের তথ্য হাতিয়ে কীভাবে আপনার ব্যাঙ্কের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতাতে পারে হ্যাকার, জানুন

Aritra Ghosh | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Jun 28, 2023 | 12:31 AM

Cyber fraud: সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আধারের তথ্য বাধ্যতামূলক। অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা মজবুত করতেই এই সিস্টেম। কিন্তু, AEPS-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে।

AEPS: আধারের তথ্য হাতিয়ে কীভাবে আপনার ব্যাঙ্কের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতাতে পারে হ্যাকার, জানুন
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

কলকাতা: যত দিন যাচ্ছে, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। আর এই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই প্রতারণার ফাঁদ পাতছে হ্যাকাররা। এতদিন OTP হাতিয়ে ব্যাঙ্ক তথ্য নিয়ে বা হোয়াটসঅ্যাপে জালিয়াতির লিঙ্ক পাঠিয়ে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিত হ্যাকাররা। এখন সেটা অতীত। এবার আধার কার্ডের তথ্য ও অন্যতম সুরক্ষিত পন্থা হিসাবে বিবেচিত বায়োমেট্রিক (Biometric) পদ্ধতিকেই হাতিয়ার করে প্রতারণার নতুন ফাঁদ পাততে শুরু করেছে হ্যাকাররা। বিশেষত, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে লেনদেন এবং দলিল রেজিস্ট্রেশনকে হাতিয়ার করছে তারা। তাই জমির রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। না হলে আপনার অজান্তেই ফাঁকা হয়ে যেতে পারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank account)।

বায়োমেট্রিক ও আধার কার্ডের তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণার কথা শুনে অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন কীভাবে এটা সম্ভব? সম্প্রতি হলদিয়ায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির একাধিক অভিযোগের তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেয়েছেন সাইবার গোয়েন্দারা। যা দেখে তাঁদেরও চোখ কপালে উঠেছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আধারের তথ্য হাতিয়েই গ্রাহকদের আঁধারে ফেলছে হ্যাকাররা।

কীভাবে বায়োমেট্রিক ও আধার কার্ডের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা?

বর্তমানে হ্যাকারদের নতুন অস্ত্র হল, AEPS (আধার এনাবেল পেমেন্ট সিস্টেম) অ্যাপ। যেখানে ATM নেই, সেখানে AEPS অ্যাপ ব্যবহার করেই টাকা তোলা বা স্থানান্তর করা যায়। কেবল আঙুলের ছাপ, আধার নম্বর ও ব্যাঙ্কের নাম দিতে হয়। আর এখানেই লুকিয়ে বিপদ। এই অ্যাপ থেকেই গ্রাহকের অজান্তে ব্যাঙ্কের তথ্য সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে হ্যাকাররা।

সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আধারের তথ্য বাধ্যতামূলক। অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা মজবুত করতেই এই সিস্টেম। কিন্তু, AEPS-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে। ক্লোন হয়ে যাচ্ছে ফিঙ্গার প্রিন্ট, চুরি হচ্ছে আধারের তথ্য। ফলে সহজেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে অ্যাকাউন্ট খালি করে দিচ্ছে হ্যাকাররা।

সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান, মূলত দলিল থেকে এই প্রতারণা বেশি হচ্ছে। দলিল থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট তুলে নিচ্ছে ও আধারের তথ্য পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা। তবে কীভাবে দলিল লিক হচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংগঠিতভাবে প্রতারকরা এই ধরনের কাজ করছে বলেই সন্দীপবাবুর দাবি। দলিল ছাড়াও হোটেল বা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কাজে গ্রাহকেরা আধার ব্যবহার করলে সেখান থেকেও কোনভাবে প্রতারকরা তথ্য নিতে পারেন বলে মনে করছেন তিনি।

হ্যাকারদের থেকে বাঁচার উপায়
হ্যাকাররা যেমন AEPS অ্যাপ হাতিয়ার করে প্রতারণার নতুন ছক কষেছে। তেমন এর থেকে বাঁচার উপায়ও রয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হোটেলে পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড দেবেন না। এছাড়া AEPS-এর মাধ্যমে লেনদেন করলেও My Aadhaar অ্যাপ ব্যবহার করে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন সিস্টেম লক করে দিতে পারেন। পরে প্রয়োজনে আবার সিস্টেমটি খুলে নিতে পারেন এবং ব্যবহারের পর আবার সেটা লক করে দিন। মাই আধার অ্যাপ লক থাকলে হ্যাকাররা কোনভাবে আধারের তথ্য পাবে না।

Next Article