AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দিল্লি বিস্ফোরণ থেকে শিক্ষা নিন, আপনার বিক্রি করা গাড়ি সন্ত্রাসে ব্যবহার হলে কি আপনিও ফাঁসবেন?

Vehicle Ownership Rule: যদি খুন বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মতো গুরুতর অপরাধ হয়, তাহলে রেজিস্টার্ড গাড়ি মালিক সরাসরি অপরাধে দায়বদ্ধ হন না। এক্ষেত্রে তদন্তকারীকে প্রমাণ করতে হয় যে গাড়ি মালিক ও অপরাধের মধ্যে যোগ রয়েছে।  যদি কোনও ব্য়ক্তি জেনেশুনে অচেনা কাউকে গাড়ি দেন অপরাধ করার জন্য, তাহলে অপরাধে মদত দেওয়া প্রমাণিত হবে।

দিল্লি বিস্ফোরণ থেকে শিক্ষা নিন, আপনার বিক্রি করা গাড়ি সন্ত্রাসে ব্যবহার হলে কি আপনিও ফাঁসবেন?
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Chatgpt
| Updated on: Nov 13, 2025 | 2:07 PM
Share

নয়া দিল্লি: লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ। উঠে এসেছে হোয়াইট কলার মডিউলের প্রসঙ্গ। যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেই হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটি সেকেন্ড হ্যান্ড। পরে আরও একটি লাল গাড়ির খোঁজ মিলেছে ফরিদাবাদ থেকে। এই গাড়িটিও অনেক হাত ঘুরে জঙ্গি-চিকিৎসকের হাতে এসেছিল। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে আপনার বিক্রি করা গাড়ি যদি অন্য কেউ কেনে এবং সেই গাড়ি ব্যবহার করে কোনও অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহলে আপনিও কি পুলিশি বা আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন?

এর সহজ উত্তর হল, হ্যাঁ। যদি গাড়ি বিক্রি করার পর মালিকানা বদল না করা হয়, তাহলে আইনি সমস্য়ায় পড়তে হয় গাড়ির প্রথম মালিককেই। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট ১৯৮৮-র অধীনে মামলা হয়।

যেকোনও দুর্ঘটনা বা অপরাধেই প্রথমে গাড়ির নম্বর খুঁজে অভিযুক্তের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করে পুলিশ। অনেক সময়ই রেজিস্ট্রেশন বা মালিকানা বদল না হওয়ায়, এক্ষেত্রে ফেঁসে যান গাড়ির আসল মালিক বা প্রথম মালিক। যতক্ষণ রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে রেকর্ড ট্রান্সফার না করা হয়, ততক্ষণ আইনত মালিকের নামেই রেজিস্ট্রেশন থাকে। যদি গাড়ি ব্যবহার করে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে এবং মৃত্যু হয়, তাহলে মোটর ভেহিকেল অ্যাক্টের ২(৩০) এবং ১৬৫ ধারায় গাড়ি মালিককে নিহতের পরিবারের সদস্যকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।

যদি খুন বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মতো গুরুতর অপরাধ হয়, তাহলে রেজিস্টার্ড গাড়ি মালিক সরাসরি অপরাধে দায়বদ্ধ হন না। এক্ষেত্রে তদন্তকারীকে প্রমাণ করতে হয় যে গাড়ি মালিক ও অপরাধের মধ্যে যোগ রয়েছে।  যদি কোনও ব্য়ক্তি জেনেশুনে অচেনা কাউকে গাড়ি দেন অপরাধ করার জন্য, তাহলে অপরাধে মদত দেওয়া প্রমাণিত হবে। যদি কেউ নিজেকে এমন অপরাধে নির্দোষ প্রমাণ করতে চান, তাহলে তাঁকে প্রমাণ করতে হবে যে অপরাধ সম্পর্কে তার আগে কোনও ধারণা ছিল না। যদি গাড়ি চুরি হয়ে যায় বা বিনা অনুমতিতে গাড়ি ব্যবহার করা হয়, তাহলেও তাঁকে সরাসরি অপরাধের জন্য দায়ী করা হয় না।

যদি সিগন্যাল ভাঙা বা ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনও অপরাধ হয়, তাহলেও কিন্তু গাড়ির প্রথম মালিক বা আসল মালিকের নামেই কেস আসবে কারণ আরটিও-তে পুরনো মালিকেরই রেকর্ড থাকবে। ব্যক্তিগত কোনও চুক্তি গ্রাহ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে প্রথম গাড়ি মালিককে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি গাড়ি বিক্রি করেছেন। মালিকানা ট্রান্সফারের প্রমাণ দিতে হবে। এর মধ্যে ডেলিভারি রিসিপ্ট, যিনি গাড়ি কিনেছেন, তার সরকারি পরিচয়পত্র, আরটিও ফর্ম ২৯ ও ৩০-তে উভয় পক্ষের সই থাকতে হবে।

কীভাবে মালিকানা বদল করবেন?

  • গাড়ির আসল নথি
  • ফর্ম ২৯-র দুই কপি (মালিকানা বদলের নোটিস)
  • ফর্ম-৩০-র এক কপি (ক্রেতার মালিকানা বদলের নোটিস)
  • বৈধ ইন্সুরেন্স ও পলিউশন সার্টিফিকেট
  • ক্রেতা ও বিক্রেতার পরিচয়পত্র
  • যদি লোনে গাড়ি কেনা হয়, তাহলে ফর্ম ৩৫ ও নো অবজেকশন সার্টিফিকেট।

গাড়ি বিক্রির ৩০ দিনের মধ্যে বিক্রেতাকে আরটিও-তে জানাতে হবে গাড়ি বিক্রির কথা।