Haldiram: বিদেশি হাতে ‘হলদিরাম’? কে হবে ৬৬,৪০০ কোটি টাকার ‘দেশি সংস্থা’র নয়া মালিক?

May 15, 2024 | 2:41 PM

Haldiram gets bid from Blackstone: জনপ্রিয়তম নোনতা এবং স্ন্যাকস প্রস্তুতকারক 'হলদিরাম' বিক্রির কথাবার্তা চলছে। কেনার জন্য সংস্থার ভিড়ও বাড়ছে। আর সম্পূর্ণ দেশিয় এই ব্র্যান্ডের মালিকানা এবার চলে যেতে পারে বিদেশিদের হাতে।

Haldiram: বিদেশি হাতে হলদিরাম? কে হবে ৬৬,৪০০ কোটি টাকার দেশি সংস্থার নয়া মালিক?
হলদিরামের নোনতা কাহিনি শোনাবে এবার বিদেশিরা?
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: ‘হলদিরাম’, ব্র্যান্ডের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। দেশের সব স্তরের মানুষের ভরসার নোনতা এবং মিষ্টি খাবারের ব্র্যান্ড। সেই স্বাধীনতার আগে থেকে ভারতীয়দের জিভের চাহিদা মেটাচ্ছে হলদিরাম। কিন্তু এবার বিক্রি হয়ে যেতে পারে দেশের এই জনপ্রিয়তম নোনতা এবং স্ন্যাকস প্রস্তুতকারক সংস্থাটি। বিক্রির কথাবার্তা চলছে। কেনার জন্য সংস্থার ভিড়ও বাড়ছে। আর সম্পূর্ণ দেশিয় এই ব্র্যান্ডের মালিকানা এবার চলে যেতে পারে বিদেশিদের হাতে। ‘হলদিরাম স্ন্যাক্স ফুড প্রাইভেট লিমিটেড’ কেনার জন্য দর হেঁকেছে মার্কিন ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা, ‘ব্ল্যাকস্টোন’। বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাইভেট ইক্যুইটি সংস্থা এই ব্ল্যাকস্টোন। ব্ল্যাকস্টোনের সঙ্গে যৌথভাবে হলদিরাম কিনতে আগ্রহী হয়েছে ‘আবুধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি’ এবং সিঙ্গাপুরের সরকারি সংস্থা, ‘জিআইসি’-ও।

সূত্রের খবর, ব্ল্যাকস্টোন, আবুধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি এবং জিআইসি, যৌথভাবে হলদিরামের ৭৪-৭৬ শতাংশ শেয়ার কিনতে চায়। এর জন্য তারা হলদিরাম সংস্থার মূল্য নির্ধারণ করেছে ৮ থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ, ৬৬৪০০ কোটি টাকা থেকে ৭০,৫০০ কোটি টাকা। ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাইভেট ইকুইটি ক্রয়ের একটি হতে চলেছে এই চুক্তি। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে হলদিরাম কর্তৃপক্ষ। সংস্থার সিইও, কেকে চৌতানি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। প্রশ্ন হল, কেন বিক্রি করার কথা হচ্ছে হলদিরামকে? ব্যবসা কি আর চলছে না? জানা গিয়েছে, সংস্থা বিক্রির সিদ্ধান্ত কোনও ব্যবসায়িক কারণে নয়। ব্যবসার দিকে সবকিছু ঠিকই চলছে। তাহলে বিক্রির কথা এল কেন?

৮৭ বছরে বহরে ক্রমে বেড়েছে হলদিরাম

১৯৩৭ সালে, রাজস্থানের বিকানেরে হলদিরাম নামের একটি ছোট দোকানে ব্যবসা শুরু করেছিলেন গঙ্গা বিশান আগরওয়াল। ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা ক্রমেই বহরে বেড়েছে। সোন পাপড়ি থেকে শুরু করে শুকনো সিঙারা, ভুজিয়া, চানাচুর, বিস্কুট, কুকিজের মতো হরেক স্ন্যাকস এবং মিষ্টি তৈরি করে সংস্থাটি। কিন্তু সমস্যা হল, আগরওয়ালদের নতুন প্রজন্ম ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয় বলে মনে করছেন শিল্প জগৎ। সংস্থার দৈনন্দিন কার্যক্রম থেকেও নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। গত বছরের মে মাসে সংস্থআর সিইও পদে নিয়োগ করা হয়েছে কেকে চৌতানিকে। এই প্রথম সংস্থার নেতৃত্বে এসেছেন আগরওয়াল বংশের বাইরের কোনও পেশাদার ব্যক্তি।

হলদিরাম সংস্থার ব্যবসা তিন ভাগে বিভক্ত। যদিও তিন ক্ষেত্রেই একই নাম ও লোগো ব্যবহার করা হয়। একটি শাখা পরিচালিত হয় দিল্লি থেকে, একটি নাগপুর থেকে এবং অপরটি কলকাতা থেকে। দিল্লির ব্যবসা পরিচালনা করেন মনোহর আগরওয়াল এবং মধুসূদন আগরওয়াল। আর নাগপুরের ব্যবসার দায়িত্বে আছেন কমলকুমার শিবকিষাণ আগরওয়াল। ব্ল্যাকস্টোন যে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, তার আওতায় রয়েছে শুধুমাত্র দিল্লি ও নাগপুরের ব্যবসা। কলকাতা থেকে পরিচালিত হয় হলদিরামের রেস্তোরাঁ ব্যবসা। সেটি এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে, এখনও কিছুই পাকা নয়। হলদিরামকে বিক্রি করার চেষ্টা আগেও হয়েছিল। টাটা, পেপসিকোর মতো সংস্থারা কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু, সেই সময় কোনও ঐক্যমতে পৌঁছানো যায়নি। এবার বিদেশিরা কি হলদিরামের স্বাদের ভাগ পাবে?

Next Article