Vibrant Village: নয়াদিল্লির মাস্টারস্ট্রোক! চিনের চোখরাঙানির পাল্টা দেবে ভারত, শুরু প্রস্তুতি

Border Village Development: ডোকালাম, লাদাখের পর তাওয়ান নিয়েও চিন যে দাবি করেছে তা ভারতের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী। এই পরিস্থিতিতেই সীমান্তবর্তী এলাকায় চিনকে যোগ্য জবাব দিতে বিশেষ পরিকল্পনা করেছে ভারত। সেই পরিকল্পনা ছাপ স্পষ্ট হয়েছে মঙ্গলবারের বাজেট ঘোষণায়।

Vibrant Village: নয়াদিল্লির মাস্টারস্ট্রোক! চিনের চোখরাঙানির পাল্টা দেবে ভারত, শুরু প্রস্তুতি
Follow Us:
| Updated on: Jul 25, 2024 | 2:00 PM

ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় চিনের উপস্থিতি গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) বরাবর চিনের কর্মকাণ্ড নয়াদিল্লিকে উদ্বেগে রেখেছে। ডোকালাম, লাদাখের পর তাওয়ান নিয়েও চিন যে দাবি করেছে তা ভারতের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী। এই পরিস্থিতিতেই সীমান্তবর্তী এলাকায় চিনকে যোগ্য জবাব দিতে বিশেষ পরিকল্পনা করেছে ভারত। সেই পরিকল্পনা ছাপ স্পষ্ট হয়েছে মঙ্গলবারের বাজেট ঘোষণায়। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার সংবেদনশীল গ্রামগুলির উন্নতিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তার জন্য এই প্রথমবার অর্থ বরাদ্দ হয়েছে বাজেটে। অতীতে এই ধরনের বাজেট বরাদ্দ দেখা যায়নি। ‘ভাইব্রান্ট ভিলেজ’ শীর্ষক এই উদ্যোগে গ্রামগুলির পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতিতে খরচ করা হবে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির উন্নত হলে সেনার পক্ষে ওই সব এলাকায় পৌঁছে যাওয়া যেমন সহজ হবে, তেমনই চিন যদি ভবিষ্যতে সীমান্তে ঝামেলার সৃষ্টি করে, তার মোকাবিলায় প্রভূত সুবিধা মিলবে।

সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য ভাইব্রান্ট ভিলেজের অধীনে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করে ভাইব্রান্ট ভিলেজ হিসাবে গড়ে তোলা হবে। চিনের সীমান্তে বা সীমান্তের কাছেই অবস্থিত গ্রামগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। সীমান্তের ১৩৬টি গ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও গড়ে তোলা হবে। প্রায় ১১৩টি রাস্তা তৈরি করে এই সংযোগ গড়ে তোলা হবে। সে জন্য ২ হাজার ৪২০ কোটি বরাদ্দ হয়েছে বাজেটে। সেখানে বছরের সব সময় সমস্ত আবহাওয়াতেই যাতে পৌঁছে যাওযা যায়, সে রকমই রাস্তা গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি গ্রামগুলিতে ৪জি নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাও করা হবে। সীমান্তের এই সমস্ত গ্রামে এ বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। তা উন্নয়নের মাধ্যমেও চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে পরিকাঠামো গত উন্নতির কথা অতীতে একাধিকবার শোনা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়। সেই গ্রামে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ওই সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের উৎপাদিত পণ্য সমবায়ের মাধ্যমে কেনার ব্যবস্থা করার উদ্যোগও নেওয়া হবে। তা হলে সেখানকার গ্রামবাসীদের রোজগারের নতুন সংস্থানও তৈরি হবে। সেই সঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকার এই সব গ্রামে সৌরবিদ্যুতের বিষয়েও জোর দেওয়া হবে। আগামী মাসেই অমিত শাহ ভাইব্রান্ট ভিলেজ নিয়ে বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।