নয়া দিল্লি: ফেব্রুয়ারি মাস প্রায় শেষ। মার্চ মাসেই শেষ হতে চলেছে অর্থবর্ষ। প্রত্যেক অর্থবর্ষের শেষেই হিসাব করা হয় আয়-ব্যয়ের। আয়কর এড়াতেই অনেকেই আবার বিনিয়োগ করেন বিভিন্ন খাতে। যদি আপনি সঠিক খাতে বিনিয়োগ করেন, তবে আয়করের ক্ষেত্রে কর ছাড় পাওয়া যায়। আপনিও যদি বিনিয়োগ করার চিন্তাভাবনা করেন, তবে টাকা রাখতে পারেন পোস্ট অফিসের বিভিন্ন প্রকল্পে। ন্য়াশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিমের মতো একাধিক প্রকল্প রয়েছে, যেখানে বিনিয়োগ করলে ভাল রিটার্নের পাশাপাশি করছাড়ের সুবিধাও মেলে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক পোস্ট অফিসের বিনিয়োগ প্রকল্প-
পোস্ট অফিসের অন্যতম জনপ্রিয় বিনিয়োগ প্রকল্প হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। বর্তমানে এই বিনিয়োগ প্রকল্পে বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। ভাল রিটার্নের পাশাপাশি এই বিনিয়োগ স্কিমে আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা অবধি করে ছাড় পাওয়া যায়। এই বিনিয়োগ প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও আয়করের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যায়। এই বিনিয়োগ প্রকল্পের মেয়াদ হল ১৫ বছর। এরপরে ৫ বছর করে দুইবার এই খাতে বিনিয়োগ করা যাবে। ৭ বছর বাদে এই বিনিয়োগ প্রকল্প থেকে অর্ধেক টাকা তোলা যায়।
মেয়েদের জন্য় রয়েছে এই পোস্ট অফিসের প্রকল্প। ১০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের জন্য এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়, তারা ১৮ বছর হয়ে গেলে এই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যায়। এই বিনিয়োগ প্রকল্পে বার্ষিক ন্যূনতম ২৫০ টাকা ও সর্বাধিক ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা রাখা যায়। আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়ও পাওয়া যায়।
অবসরপ্রাপ্ত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই প্রকল্পে বিনিয়োগের মেয়াদ হল ৫ লক্ষ টাকা। এই বিনিয়োগ প্রকল্পে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা ও সর্বাধিক ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। বিনিয়োগের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে তিন বছরের জন্য ফের এই খাতে বিনিয়োগ করা যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিনিয়োগ খাতে ৮ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। আয়করের ক্ষেত্রেও ছাড় মেলে এই বিনিয়োগ প্রকল্পে টাকা রাখলে।