Infosys: সোজা অফিসে ঢুকে চাকরি চেয়েছিলেন নন্দন নিলেকানি, কড়া পরীক্ষা নিয়ে চমকে ওঠেন নারায়ণ মূর্তিই
Narayana Murty: নারায়ণ মূর্তি বলেন, "১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নন্দন পিসিএস অফিসে সোজা আমার রুমে আসে এবং বলে যে ও চাকরি চায়। আমি ওকে সেই লার্নাবিলিটি টেস্ট দিই। যাদের আমি ওই পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তাদের মধ্যে একমাত্র নন্দনই ৫০-এ ৫০ পেয়েছিল।"
নয়া দিল্লি: ৪০-এ পা দিয়েছে দেশের অন্য়তম তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। চলতি সপ্তাহের বুধবারই বেঙ্গালুরুতে ইনফোসিসের সদর দফতরে সংস্থার তরফে ৪০ বছর পূর্তির উদযাপনও করা হয়। ইনফোসিস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নায়ারণ মূর্তি ও সুধা মূর্তি দেশবাসীর কাছে পরিচিত হলেও, দেশের অন্যতম বড় এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার প্রতিষ্ঠা ও উত্থানের কাহিনি এখনও অনেকের কাছেই অজানা। ১৯৮১ সালে শুরু হওয়া এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার আইপিও ১৯৯৩ সালে আসে, এরপরে সংস্থার স্টক মার্কেটের দর ১০ লক্ষ গুণ বেড়ে গিয়েছে।
১৯৮১ সালে স্ত্রী সুধা মূর্তির কাছ থেকে ২৫০ ডলার ধার নিয়েছিলেন নারায়ণ মূর্তি। কয়েক বছরেই তা ৭১.৪১ বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। যে সাতজনের হাত ধরে ইনফোসিস সংস্থার সূচনা হয়েছিল, তাঁরা হলেন নারায়ণ মূর্তি, সুধা মূর্তি, নন্দন নিলেকানি, ক্রিস গোপালকৃষ্ণণ, ডি শিবুলাল, এনএস রাঘবন ও অশোক অরোরা। এদের মধ্যে নন্দন নিলেকানিই বাকিদের তুলনায় অনেক বেশি পরিচিত। কিন্তু কীভাবে নন্দন নিলেকানিকে ইনফোসিস সংস্থার অংশ বানালেন নারায়ণ মূর্তি, সংস্থার ৪০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে সেই ঘটনার স্মৃতিচারণই করলেন তিনি।
নারায়ণ মূর্তি জানান, তিনি যখন পাটনি কম্পিউটার সিস্টেমস সংস্থার সফটওয়্যার হেড ছিলেন, সেই সময় তিনি একটি লার্নাবিলিটি টেস্ট তৈরি করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি শেখার দক্ষতা নির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত থেকে তথ্য বের করার ক্ষমতা হিসাবে এবং নতুন অসংগঠিত সমস্যাগুলি সমাধান করতে সেগুলি ব্যবহার করার পদ্ধতি হিসাবে মনে করি। এটাই আসল বুদ্ধিমত্তা।”