বাজার কাঁপাতে তৈরি Jio, এবার Income Tax Return ফাইল করতে মাত্র ২৪ টাকা! নয়া কৌশল Mukesh Ambani-র
Jio Finance, Income Tax Return: এখন আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় চলছে। আর এই সময় নতুন এই সার্ভিস লঞ্চ করায় জিও ফাইন্যান্সের নতুন এই ব্যবসা যে ফুলে ফেঁপে উঠবে, সে কথা বলাই যায়।

২০১৬ সালে দেশের ভোডাফোন, আইডিয়া, এয়ারটেলের মতো সংস্থাকে একপ্রকার ধাক্কা দিয়ে টেলিকম সেক্টরে জায়গা করে নেয় জিও। আর এবার জিওর পদক্ষেপে ধাক্কা খেতে পারে একাধিক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। ট্যাক্সবাড্ডির সঙ্গে পার্টনারশিপ করে এবার আয়কর রিটার্নের সার্ভিস দিচ্ছে জিও ফাইন্যান্স।
এখন আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় চলছে। আর এই সময় নতুন এই সার্ভিস লঞ্চ করায় জিও ফাইন্যান্সের নতুন এই ব্যবসা যে ফুলে ফেঁপে উঠবে, সে কথা বলাই যায়। তবে, এই ক্ষেত্রে জিও আবার সেই ২০১৬ সালের মতো একই স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। অন্য সব সংস্থা, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম থেকে ইন্ডিভিজুয়াল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, সকলকেই রীতিমতো চাপে ফেলেছে মাত্র ২৪ টাকায় তাদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সার্ভিস নিয়ে এসে।
কিন্তু জিও কি চাইছে? শুধুই গ্রাহকদের আকর্ষণ করে দের সঙ্গে যুক্ত করতে? নাকি আরও বেশি কিছু চাইছে জিও? গত কয়েক বছরে জিও ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরে একের পর এক বড় ধামাকা করে চলেছে। তারা আমেরিকান ফার্ম ব্ল্যাকরকের সঙ্গে যৌথভাবে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি তৈরি করেছে। স্টক ব্রোকিং ফার্ম ও মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে এসেছে। আলিয়াঞ্জের সঙ্গে ৫০:৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চারে ইন্সিওরেন্স সেক্টরেও পা রেখেছে।
গত বছরে ৯ কোটি ১৯ লক্ষ মানুষ আয়কর রিটার্ন ফাইল করেছে। এই আয়কর রিটার্ন ফাইলের ডকুমেন্ট কিন্তু শুধুমাত্র কোনও লিগ্যাল ডকুমেন্ট নয়। আয়কর রিটার্নে কোনও ব্যক্তির স্যালারি, বিনিয়োগ ও সেখান থেকে উপার্জনের ডিটেলস, লোন, ইএমআই সম্পর্কে জানা যায়। এ ছাড়াও ওই ব্যক্তি কোন কোন সম্পত্তির মালিক তাও জানা যায়। এ ছাড়াও কতজন ওই ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল, সেটাও জানা যায়। আর সেই তথ্য থেকে জিও তার অন্যান্য ব্যবসার গ্রাহক বেস তৈরি করতে পারে। ফলে, এই ব্যবসা থেকে জিওর লস হলেও অন্য ব্যবসার মাধ্যমে সেই লস জিও যে পুষিয়ে নেবে সে কথা বলাই যায়।
