Covid-19 Treatment Expense : কোভিডের চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়েছিলেন? কর-ছাড় দাবি করার পদ্ধতি জেনে নিন
Covid-19 Treatment Expense : কোভিডের সময় চিকিৎসার জন্য অনেকেই টাকা ধার নিয়েছিলেন। চিকিৎসার কারণে টাকা নিয়ে থাকলে সেই টাকা করের আওতায় পড়ে না।
করোনা মহামারির সময় অনেকেই বিভিন্ন আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। হঠাৎ করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন থেকে শুরু করে বিনা নোটিসে চাকরি চলে যাওয়া। বিভিন্ন কারণে টাকার প্রয়োজন হয়েছে অনেকেরই। আর্থিক সাহায্য়ের জন্য সেই সময় অনেকেই কোনও পরিচিত ব্যক্তি ও আত্মীয় স্বজনের থেকে টাকা ধার নিয়েছেন হয়তো। সেই ধার নেওয়া টাকা কিন্তু আয়করের আওতার বাইরে। তবে কর ছাড় পাওয়ার জন্য কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ধার নেওয়া ব্যক্তিকে।
এই বিষয়ে প্রত্যক্ষ করের কেন্দ্রীয় বোর্ড (Central Board of Direct Taxes) ৫ অগস্ট এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কোভিডের চিকিৎসার জন্য প্রাপ্ত অর্থের উপর কর ছাড় পেতে কী কী করতে হবে এবং কোন কোন নথির প্রয়োজন তা এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সরকার ২০২১ সালের ২৫ জুন ঘোষণা করেছিল, যদি কোনও ব্য়ক্তি করোনার চিকিৎসার জন্য আত্মীয় স্বজনের কাছে থেকে টাকা নেন বা কোভিডে পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে কোনও সংস্থা কর্তৃক টাকা পেলে তা আয়করের আওতায় আসবে না। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে এই কর ছাড় প্রযোজ্য হয়েছে।
সিবিডিটি-র বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যে ব্যক্তিরা করোনা চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন তার কোম্পানিতে নিম্নলিখিত নথি জমা দিতে হবে :
- কোম্পানির কর্মচারী বা তার পরিবারের কোনও সদস্যের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পাশাপাশি হাসপাতালের দেওয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট যেখানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করা থাকবে।
- কর্মচারী বা তার পরিবারের সদস্যের করোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। করোনা আক্রান্ত রোগীর অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র।
- কর্মচারীর কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য মোট খরচের নথিপত্র।
- এই নথিপত্রগুলি দেওয়ার পাশাপাশি সিবিডিটি-র তরফে জানানো হয়েছে, ফর্ম নম্বর ১ জমা দিতে হবে। যে অর্থবর্ষে টাকা পেয়েছেন কোনও ব্যক্তি তার ৯ মাসের মধ্যে বা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি জমা দিতে হবে।
ফর্ম নম্বর ১ এ কী কী তথ্য দেবেন?
- নাম, ঠিকানা, প্যান
- কোভিড পজ়িটিভ রিপোর্টের বিশদ বিবরণ যেমন- সিরিয়াল নম্বর, আইডি নম্বর ইত্যাদি।
- কর্মচারী বা পরিবারের সদস্যের চিকিৎসার তথ্য। কোভিড সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার ছয় মাসের মধ্য়ে এটি জমা দিতে হবে।
- চিকিৎসার মোট ব্যয়।
- কোনও ব্যক্তির থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ।
- যার থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তার নাম, ঠিকানা ও প্যান।