১ নভেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে KYC-র নিয়ম, আপনি এই কাজ না করলে টাকা তুলতে পারবেন না ব্যাঙ্ক থেকে
KYC Rules: চলতি বছরের আগামী ১ নভেম্বর থেকে ব্যাঙ্কের নিয়মে পরিবর্তন করা হবে যা গ্রাহকদের আর্থিক সুরক্ষা বাড়াবে। এর মধ্যে অন্যতম হল কেওয়াইসি(KYC)-র নিয়ম। কত বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে, তা বলে দিল আরবিআই।

নয়া দিল্লি: ব্যাঙ্কের একাধিক নিয়মে আসছে পরিবর্তন। এই নিয়ম আমার-আপনার মতো গ্রাহকদের জেনে রাখা দরকার। চলতি বছরের আগামী ১ নভেম্বর থেকে ব্যাঙ্কের নিয়মে পরিবর্তন করা হবে যা গ্রাহকদের আর্থিক সুরক্ষা বাড়াবে। এর মধ্যে অন্যতম হল কেওয়াইসি(KYC)-র নিয়ম। কত বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে, তা বলে দিল আরবিআই।
KYC-এর পুরো অর্থ হল নিজের গ্রাহককে জানুন (Know Your Customer)। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকের পরিচয় যাচাই করে।
এর মূল উদ্দেশ্য হল-
- প্রতারণা, আর্থিক তছরুপ, সন্ত্রাসে অর্থ যোগান বা অন্য কোনও অবৈধ কাজ রোধ করা।
- গ্রাহকের পরিচয় ও ঠিকানা নিশ্চিত করা।
KYC কেন প্রয়োজন?
ব্যাংককে প্রতিটি গ্রাহকের প্রকৃত পরিচয় জানতে হয়। তাই KYC বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আরবিআই (Reserve Bank of India)-র নির্দেশ অনুযায়ী। KYC ছাড়া
- নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না
- লোন, ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি করা যায় না
- পুরনো অ্যাকাউন্টও “ফ্রিজ” করে দেওয়া হতে পারে যদি KYC আপডেট না থাকে।
আরবিআই-র নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, যে অ্যাকাউন্টে কোনও ঝুঁকি নেই, সেখানে ১০ বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। অর্থাৎ যে অ্যাকাউন্টে বিশেষ লেনদেন হয় না, সেই ধরনের অ্যাকাউন্টে ১০ বছর অন্তর আপডেট করলেই হবে।
যে অ্যাকাউন্টে অল্প-বিস্তর ঝুঁকি থাকবে, সেখানে ৮ বছর অন্তর এবং যে অ্যাকাউন্টে হাই রিস্ক থাকবে, সেই অ্যাকাউন্টে ২ বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। অর্থাৎ যাদের অ্যাকাউন্টে বড় মাপের লেনদেন হয়, তাতে ২ বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে।
আরবিআই আরও এক নিয়ম এনেছে। এবার থেকে ব্যাঙ্ক-কে নিজেদের কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। কোনও থার্ড পার্টির মাধ্যমে কেওয়াইসি আপডেট করানো যাবে না।
KYC করতে কী কী দরকার?
KYC মূলত দুই ধরণের তথ্য যাচাই করে:
1. Proof of Identity (পরিচয়পত্র)
- আধার কার্ড
- প্যান কার্ড
- ভোটার আইডি
- পাসপোর্ট
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
2. Proof of Address (ঠিকানার প্রমাণ)
- আধার কার্ড (যদি ঠিকানা দেওয়া থাকে)
- বিদ্যুতের বিল / গ্যাস বিল (তিন মাসের মধ্যে)
- পাসপোর্ট
- রেশন কার্ড
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট
KYC করার ধরণ-
তিন ধরনের কেওয়াইসি হয় ব্যাঙ্কে
১. ফিজিক্যাল কেওয়াইসি (Physical KYC)
- ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হয়
- প্রয়োজনীয় নথির ফটোকপি জমা দিতে হয়
- সেলফি বা ফটো তুলতে হয়
২.ই-কেওয়াইসি (e-KYC)
- আধার কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে যাচাই হয়
- OTP ভিত্তিক ভেরিফিকেশন করা হয়
- এটি সবচেয়ে দ্রুত ও নিরাপদ
৩. Video KYC
- অনেক ব্যাংক এখন ভিডিও কলের মাধ্যমে KYC করে
- গ্রাহককে ভিডিও কলে পরিচয়পত্র দেখাতে হয়
KYC আপডেট কেন দরকার?
যদি আপনার ঠিকানা, মোবাইল নম্বর বা পরিচয়পত্র পরিবর্তিত হয়
যদি RBI বা ব্যাংক সময় সময় পুনরায় যাচাই চায়, তখন Re-KYC বা Periodic KYC Update করতে হয়। এটি সাধারণত প্রতি ২-১০ বছর অন্তর হয়।
