Michael Miebach: ভারতেই খুলে গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ফিনটেক হাব’! কী বলছেন কর্মকাণ্ডের নায়ক?
Michael Miebach: ভারতে ফিনটেক ব্যবসার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এমনটাই আশা 'মাস্টারকার্ড' সংস্থার গ্লোবাল সিইও মাইকেল মিবাকের। কী বলছেন তিনি? কেনই বা ভারতে খুলতে চলেছেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ 'ফেসিলিটি সেন্টার'? কী ভাবছেন তিনি?
ভারতের ফিনটেক ব্যবসায় আসতে চলেছে নব দিগন্ত! ‘মাস্টারকার্ড’ পুনেতে খুলতে চলেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘ফেসিলিটি সেন্টার’। ভারতে ফিনটেক ব্যবসার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এমনটাই আশা ‘মাস্টারকার্ড’ সংস্থার গ্লোবাল সিইও মাইকেল মিবাকের। কী বলছেন তিনি? কেনই বা ভারতে খুলতে চলেছেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘ফেসিলিটি সেন্টার’? কী ভাবছেন তিনি? এতে ভারতের অর্থনীতিতে কী পরিবর্তন আসবে? জানালেন শেরীন ভানকে।
স্টার্ট আপ বা উদ্যোগপতিদের জন্য ভারতে আগামীদিনে সম্ভাবনা, ক্রেডিট অ্যাক্সেসকে আরও সর্বজনীন করে তোলার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার মতো বিষয়গুলি আরও ভাল ভাবে উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে। শুধু তাই নয় ডিজিটাল অর্থনীতির উপর বেড়ে চলা নির্ভরতার কারণে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টিতেও জোর দিয়েছেন ‘মাস্টারকার্ড’-এর গ্লোবাল সিইও মাইকেল। শেরীনের প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন তিনি?
প্রঃ মাইকেল আপনি গত ২০ বছর ধরে এই ফিনটেক ব্যবসা এবং ভারতকে লক্ষ করছেন! আপনার মতে ভারতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন কী হয়েছে?
উঃ আমি ভারতের বৃহত্তর বৈশ্বিক বাস্তুতন্ত্র এবং ব্যবসার অগ্রগতির সুযোগ সম্পর্কে আশাবাদী। আমরা বাজারের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত, তাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও গভীর। বিশেষ করে গত ৪-৫ বছরে, ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতির ব্যপক বৃদ্ধি হয়েছে।
ভারত আরও বেশি লোককে এই ডিজিটাল অর্থনীতির নির্ভর করে তুলতে আগ্রহী ও তার জন্য নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ভারতের এই যাত্রাপথে ‘মাস্টারকার্ড’ও যুক্ত হতে চায়।
সেই উদ্দেশ্যেই আমরা ভারতের পুনেতে চালু করেছি, আমাদের সাতটি সবচেয়ে বড় টেক হাবের মধ্যে একটি। সেখানে প্রায় ৬০০০ কর্মী রয়েছেন। এখানকার কর্মীদের উত্তেজনা চোখে পড়ার মতো। আমি যখনই এখানে আসি কিছু না কিছু নতুন আইডিয়া পাই। এই বছর গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টিভালে ডিজিটাল বাণিজ্যে বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের মতো বিষয়টি উঠে এসেছে।
১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা শিখেছি কীভাবে এই টেক হাবগুলি একে অপরের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। গত ৪০ বছর ধরে, আমরা এখানে সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফিনটেক সেক্টরকে উন্নত করতে কাজ করে চলেছি।
প্রঃ ক্রমবর্ধমান এই বিনিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মাস্টারকার্ড-এর থেকে থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরে কী আশা করতে পারি?
উঃ গত পাঁচ বছরে, আমরা এখানে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি। আমাদের এই নব উদ্যোগ একটি আড়াই বছরের নির্মাণ প্রকল্প। আমাদের আশা ভারতে ভবিষ্যতে কর্মীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রঃ আপনি ইউপিআই-কে কীভাবে দেখেন! আগে আপনি সব সময় বলেছেন যে আপনি বিশ্বাস করেন ইউপিআই আসলে ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিকেই উন্মুক্ত করছে। ইউপিআই-এর বেশি করে সর্বব্যাপী হয়ে ওঠার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
উঃ ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিতে ইউপিআই অসাধারণ কাজ করেছে। ‘আধার কার্ড’ থাকার ফলে সবার একটি করে পরিচয় আছে। তাই আমি শেষ পর্যন্ত এক্ষেত্রে ব্যবসার বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি। এটি অনেক বড় ক্ষেত্র, যেখানে ইউপিআই লেনদেন, কার্ডের লেনদেন হবে, বা এমন কিছু ধরনের লেনদেন থাকবে যা আমরা আজ ভাবতেও পারি না। তাই ইউপিআই-এর ব্যবহার বেড়ে চলাকে আমি ইতিবাচক ভাবেই দেখছি। এটিকে অর্থনৈতিক উন্নতির অংশ হিসাবেই দেখছি। যা ইউপিআই, আধার এবং ইন্ডিয়া টেক স্ট্যাকের উত্থানের সঙ্গে, সেই সুযোগটি আরও বড় হয়েছে। আমরা ভারতের এই যাত্রার অংশ। এটি একটি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগ। এমনকি সরকারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টিতেকে আরও উন্নত করে তুলতে আমরা অঙ্গীকার বদ্ধ।