Mukesh Ambani-Nita Ambani: চারপাশে দাঁড়িয়ে পড়েছিল গাড়ি, মাঝরাস্তায় নীতাকে কীভাবে প্রপোজ করেছিলেন মুকেশ?
Mukesh Ambani-Nita Ambani: ১৯৮৪ সালে একটি নাচের অনুষ্ঠানে মঞ্চে নীতাকে দেখেই বড় ছেলে মুকেশের জন্য পছন্দ করে ফেলেছিলেন মা কোকিলাবেন। পরের দিনই নীতার বাড়িতে যায় মুকেশ অম্বানীর বাবা তথা বিশিষ্ট শিল্পপতি ধীরুভাই অম্বানীর ফোন। এরপরই কথাবার্তা শুরু হয় দুই পরিবারের।
মুম্বই: প্রায় ৪০ বছর ধরে সংসার করছেন তাঁরা। স্বামীর সাফল্য-ব্যর্থতায় সবসময় পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে স্ত্রীকে। মুকেশ অম্বানী এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি, সফল শিল্পপতি। অন্যদিকে, স্ত্রী নীতার অবদানও কিছু কম নয়। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের কর্ণধার তিনি, ধীরুভাই অম্বানী ইন্টারন্যাশন স্কুলেরও চেয়ারপার্সন নীতা। রিলায়েন্স বর্তমানে অনেকেই তাঁদের ‘পাওয়ার কাপল’ বলে থাকেন। অম্বানী পরিবারের সব অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সব ইভেন্টে একসঙ্গে দেখা যায় তাঁদের। অনেকেই জানেন না একেবারে বলিউডি কায়দায় নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুকেশ অম্বানী। মুম্বইয়ের ব্যস্ত রাস্তার মাঝেই করেছিলেন প্রপোজ।
১৯৮৪ সালে একটি নাচের অনুষ্ঠানে মঞ্চে নীতাকে দেখেই বড় ছেলে মুকেশের জন্য পছন্দ করে ফেলেছিলেন মা কোকিলাবেন। পরের দিনই নীতার বাড়িতে যায় মুকেশ অম্বানীর বাবা তথা বিশিষ্ট শিল্পপতি ধীরুভাই অম্বানীর ফোন। এরপরই কথাবার্তা শুরু হয় দুই পরিবারের। বয়স কম থাকায় দু’জনে কেউই তখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তবে মায়ের কথা ফেলতে পারেননি মুকেশ।
এক সাক্ষাৎকারে মুকেশ অম্বানী জানিয়েছিলেন, বিয়ের আগে নীতার সঙ্গে মিশে তাঁকে বুঝতে চেয়েছিলেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ঠিক করে ফেলেন, নীতাই হবেন তাঁর জীবনসঙ্গী। কিন্তু নীতা? মাত্র ২০ বছরে বয়সের নীতার চোখে তখন অনেক স্বপ্ন। বড় পরিবারে নেহাত একজন গৃহবধূ হয়ে থাকার কথা ভাবতে পারতেন না তিনি। কিন্তু মুকেশ প্রস্তাবটা দিয়েই ফেললেন।
মুম্বইয়ের পেডার রোড দিয়ে সে দিন ফিরছিলেন তাঁরা। গাড়ির ড্রাইভিং সিটে তখন মুকেশ। পাশে বসে নীতা। সাক্ষাৎকারে নীতা জানিয়েছিলেন, কীভাবে হঠাৎ রাস্তার মাঝে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন মুকেশ। তারপর নীতার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?’ নীতা অম্বানী তো কিছুতেই উত্তর দিচ্ছেন না। ওদিকে মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েছে আরও সব গাড়ি। লোকজন চীৎকার করছে, গাড়ির হর্ন দিচ্ছে। কিন্তু মুকেশ ছাড়ার পাত্র নন। দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে? হ্যাঁ বা না? সেটা এখনই বলে হবে।’ নীতা উত্তর দিতে আপত্তি করেন ও মুকেশকে গাড়ি চালাতে বলেন। তাতেও মুকেশ অনড়। উত্তর না পেলে গাড়ি চালাবেন না। তৃতীয়বার একই প্রশ্ন করেন। এরপর উত্তর আসে ‘হ্যাঁ’। তবেই গাড়ি চালু করেন মুকেশ।