নয়া দিল্লি: প্যাকেটজাত খাবারের ক্ষেত্রে এবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় সরকারের। যে কোনও খাদ্যদ্রব্য যদি প্যাকেটে বিক্রি হয়, তাহলে প্যাকেটের গায়ে কোন কোন তথ্য লেখা থাকবে, তার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। দাম, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য থাকে প্যাকেটে। তবে এবার সেই সব প্যাকেট বদলে দেওয়া হচ্ছে। সরকার যে গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছে, সেই অনুযায়ী প্যাকেট তৈরি করতে হবে এবার। গত ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে সেই নিয়ম।
নয়া নির্দেশিকা অনুসারে, সমস্ত পণ্যের প্যাকেটে এমআরপি-র পাশাপাশি প্রতি ইউনিটের দাম উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া উৎপাদনের সঠিক মাস এবং বছর উল্লেখ করতে হবে। ফলে প্যাকেটে কটি পিস আছে, তা বুঝতে কোনও অসুবিধা হবে না।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, উৎপাদনকারী ও আমদানিকারী সংস্থাকে ইউনিটের দাম উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ ধরে নেওয়া যাক, একটি প্যাকেটে ৩ কিলোগ্রাম আটা আছে, সেই প্যাকেটে তিন কিলোগ্রামের পাশাপাশি এক কিলোগ্রামের দাম উল্লেখ করতে হবে। একই ভাবে ১০০ গ্রামের প্যাকেট হলে ১ গ্রামের দাম উল্লেখ করতে হবে।
এর আগে, কোম্পানিগুলিকে ‘উৎপাদনের তারিখ’ অথবা ‘আমদানির তারিখ’ অথবা ‘প্যাকেজিংয়ের তারিখ’ প্রিন্ট করতে বলা হত। এর মধ্যে যে কোনও একটি বিকল্প বেছে নিতে পারত সংস্থা। কিন্তু এখন বাধ্যতামূলকভাবে ‘উৎপাদনের তারিখ’ উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে।
এই তথ্যগুলি উল্লেখ করলে ক্রেতাদের অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। পণ্যটি কতটা পুরনো, তা জানলে ক্রেতা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, তা কিনবেন কি না। এছাড়া পণ্যের দামের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আসবে।