Fertilizer subsidy: কৃষকদের জন্য সুখবর, ভর্তুকি কমলেও দাম বাড়ছে না সারের
Fertiliser subsidy for Kharif: বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে খরিফ ফসলের জন্য সার ও সার ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভর্তুকি কমানো সত্ত্বেও সারের খুচরা দামে কোনো পরিবর্তন হবে না।
নয়া দিল্লি: কৃষকদের জন্য সুখবর দিল মোদী সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে সারের দামে ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারের ওপর ভর্তুকি কমানোর ঘোষণা করেছে অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এর ফলে খুচরো বাজারে সারের দামের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। মনসুখ মান্ডব্য আশ্বস্ত করেন যে, খরিফ মরসুমে সারের দাম বাড়বে না।
উপকৃত হবেন ১২ কোটি কৃষক
২০২৩-২৪ সালের খরিফ মরসুমে, সরকার সারের উপর মোট ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকার ভর্তুকি দেবে। ইউরিয়ার জন্য প্রায় ৭০,০০০ কোটি টাকা এবং ডিএপি এবং অন্যান্য সারের জন্য ৩৮,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। এর প্রত্যক্ষ লাভ পাবেন খরিফ শস্য চাষ করা ১২ কোটি কৃষক। সারের এমআরপি বা মিনিমাম রিটেইল প্রাইস আগের মতোই থাকবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, সারের এমআরপিতে কোনো পরিবর্তন হবে না। বর্তমানে দেশে এক বস্তা ইউরিয়া সার পাওয়া যায় ২৭৬ টাকায়। আর ডিএপি সারের দাম বস্তা প্রতি ১,৩৫০ টাকা। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খরিফ শস্য হয়। প্রধানত ধান বোনা হলেও, তৈলবীজের চাষও হয় এই সময়। এর জন্য কৃষকরা সারের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
সরকার ভর্তুকি বাজেট কমিয়েছে
আগেই জানা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সারের উপর পুষ্টি ভিত্তিক ভর্তুকি ৩৫.৩৬ শতাংশ কমিয়েছে। এর ফলে ইউরিয়া, পটাশ, ফসফেট ও সালফার সবকিছুর উপরই ভর্তুকি কমার কথা ছিল। তবে, কোনও সারেরই খুচরো মূল্যের উপর ভর্তুকি কমানোর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সরকার।
২ লক্ষ চাকরি দেবে পিএলআই স্কিম
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আইটি হার্ডওয়্যারের জন্য পিএলআই স্কিমের দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থ অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন। এর জন্য সরকারের ১৭,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এতে দেশের ২ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও কম্পিউটারের দামও কমার আশা করা হচ্ছে।