নয়া দিল্লি : টাকা সঞ্চয় করার জন্য ভাল রিটার্ন পাওয়া যাবে, এমন যোজনাতেই বিনিয়োগ করতে চান প্রত্যেকে। ফিক্সড ডিপোজিট বেছে নেওয়ার কথা ভাবেন তাঁরা। তবে ব্যাঙ্কের থেকে পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিটের লাভ অনেক বেশি, যাকে বলা হয় টাইম ডিপোজিট। এমন এক ধরনের বিশেষ ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম আছে, যার মেয়াদ ম্যাচিওরিটি তারিখের পরও বাড়ানো যায়। আর তাতেই আসে ভাল রিটার্ন।
এক বছর, ২ বছর, ৩ বছর এবং ৫ বছরের জন্য টাকা জমা দেওয়া যেতে পারে। এক বছরের মেয়াদে ফিক্সড ডিপোজিটে ৫.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। ২ বছর এবং ৩ বছরের মেয়াদের ক্ষেত্রেও সুদের হার ৫.৫ শতাংশ। পাঁচ বছরের ক্ষেত্রে সেই হার বেড়ে হয় ৬.৭ শতাংশ। তিন মাসের হিসেবে সুদ দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের মেয়াদে ফিক্সড ডিপোজিট করলে ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৮০ সি আওতায় বিশেষ সুবিধা পান উপভোক্তারা।
কেউ যদি এক লক্ষ টাকা জমা দেন, তাহলে ম্যাচিওরিটির সময় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৪০৭ টাকা ফেরতে পাবেন। যদি কেউ সেই প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়াতে চান, তাহলে সেটাও করতে পারবেন। যাঁরা প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিটের আওতায় টাকা সঞ্চয় করেছিলেন, তাঁরা আরও পাঁচ বছর টাকা রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে সঞ্চয়।
ম্যাচিওরিটির পরও টাইম ডিপোজিটের স্কিমের মেয়াদ বাড়াতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে যে সময়ের জন্য ডিপোজিট করেছিলেন, ততটাই বাড়ানোর সুযোগ পাওয়া যায়। অর্থাৎ কেউ যদি পোস্ট অফিসে টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের আওতায় তিন বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন, তাহলে ম্যাচিওরিটির পর তিনি আরও তিন বছরের জন্য সেই সঞ্চয় প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া যায়।
১ বছরের টাইম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ম্যাচিওরিটির ৬ মাসের মধ্যে মেয়াদ বাড়াতে হবে।
২ বছরের টাইম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ম্যাচিওরিটির ১২ মাসের মধ্যে মেয়াদ বাড়াতে হবে।
৩ বছরের টাইম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ম্যাচিওরিটির ১৮ মাসের মধ্যে মেয়াদ বাড়াতে হবে।
৫ বছরের টাইম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ম্যাচিওরিটির ১৮ মাসের মধ্যে মেয়াদ বাড়াতে হবে।
পোস্ট অফিসে পাসবুক-সহ নির্দিষ্ট আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। কেউ টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার সময়ও সেই কাজটা করে রাখা যেতে পারে।