Collector’s Choice: কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হল রবি ঠাকুরের দুই দুর্লভ সৃষ্টি! কী ছিল সেই নিলামে?
Collector's Choice: সম্প্রতি শেষ হয়েছে অস্তগুরু-র ‘Colletors Choice’ নিলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর দুটি বিরল ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন সৃষ্টি চমকপ্রদ দামে বিক্রি হয়েছে ওই নিলামে। নিলামের এই সাফল্য আবারও প্রমাণ করে কবিগুরুর চিরকালীন প্রাসঙ্গিকতা ও সাংস্কৃতিক প্রভাব।

সম্প্রতি শেষ হয়েছে অস্তগুরু-র ‘Colletors Choice’ নিলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর দুটি বিরল ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন সৃষ্টি চমকপ্রদ দামে বিক্রি হয়েছে ওই নিলামে। নিলামের এই সাফল্য আবারও প্রমাণ করে কবিগুরুর চিরকালীন প্রাসঙ্গিকতা ও সাংস্কৃতিক প্রভাব।
ওই নিলামে লট নম্বর ৫-এ ছিল একটি অসাধারণ আর্কাইভাল। যাতে ছিল রবিঠাকুরের ৩৫টি হাতে লেখা চিঠি ও ১৪টি খাম। যা ঠাকুর লিখেছিলেন সমাজবিজ্ঞানী ধুর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। এই সংগ্রহটি বিক্রি হয়েছে ৫,৯০,০০,০০০ টাকায়। ১৯২৭ থেকে ১৯৩৬ সালের মধ্যে লেখা এই চিঠিগুলি কবির সৃষ্টিশীল বিবর্তন, দার্শনিক ভাবনা ও সাহিত্য থেকে চিত্রশিল্পে রূপান্তরের সাক্ষী।
ধুর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর সময়ের একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও ভারতীয় সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম অগ্রদূত। তিনি লখনউ স্কুল অব থট-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিক্ষার প্রসার, দার্শনিক চিন্তা ও জাতি গঠনের অভিন্ন লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এই চিঠিগুলি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত যোগাযোগ নয়, বরং ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকালের দুটি মহান মনের চিন্তার বিনিময়ের দলিল হিসেবে বিবেচিত।
এই লটটি একটি পাণ্ডুলিপি ভিত্তিক আর্কাইভ হয়েও, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্য প্রাপ্ত সৃষ্টি হিসেবে নিলামে জায়গা করে নিয়েছে।
লট নম্বর ২, ‘The Heart’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একমাত্র ভাস্কর্য। যা বিক্রি হয়েছে ১,০৪,৫২,২১০ টাকায়। এই আবেগপ্রবণ ও অত্যন্ত ব্যক্তিগত সৃষ্টি রবীন্দ্রনাথের শিল্পীসত্তার একটি অনন্য দিকও উন্মোচিত করে।
অস্তগুরু-র ডিরেক্টর স্নেহা গৌতম এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা গভীরভাবে সম্মানিত যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বিরল ও অন্তরঙ্গ সৃষ্টিগুলি আমরা উপস্থাপন করতে পেরেছি। বিশেষ করে এই হাতে লেখা চিঠিগুলির বিপুল সাড়া প্রমাণ করে যে আর্কাইভ ও পাণ্ডুলিপিভিত্তিক উপাদান এখন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে আরও বেশি স্বীকৃতি পাচ্ছে। এইসব সৃষ্টি শুধুই সংগ্রহযোগ্য বস্তু নয়, বরং ভারতের মেধা ও শিল্পঐতিহ্যের জীবন্ত ও প্রাণবন্ত সংযোগ।”
