নয়াদিল্লি: সরকারের উদ্যোগ। বেসরকারি বিনিয়োগ। সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে বিশ্বের উৎপাদন হাব হওয়ার দিকে এগোচ্ছে ভারত। তার জেরে বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। একটি রিপোর্ট বলছে, ২০২৬ সালের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে ভারতে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রের বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে লক্ষ লক্ষ কর্মীর প্রয়োজন পড়বে।
ট্যালেন্ট সলিউশন কোম্পানি এনএলবি সার্ভিসেসের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিপ সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন ক্যাটেগরিতে প্রায় ৩ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। প্রায় ২ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে এটিএমপি (অ্যাসেম্বলি, টেস্টিং, মার্কি এবং প্যাকেজিং) ক্যাটেগরিতে। এছাড়াও চিপ ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হবে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর চাহিদা ক্রমশ বাড়বে। ইঞ্জিনিয়র, অপারেটর, টেকনিশিয়ান, মেটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং স্পেশালিস্টদের চাকরির সুযোগ বাড়বে। সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে প্রধানত ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার, প্রসেস ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট, প্রসেস ইন্টিগ্রেশন ইঞ্জিনিয়ার, কোয়ালিটি কন্ট্রোল স্পেশালিস্ট-সহ নানা বিভাগে কর্মী প্রয়োজন।
এনএলবি সার্ভিসেসের সিইও সচিন আলুগ বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর অভাব এখনও রয়েছে ভারতে। সেমিকন্ডাক্টর হাব হতে গেলে সেই অভাব পূরণ করতে হবে।” এর জন্য স্কিল ট্রেনিং প্রোগ্রাম এবং ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে পড়ুয়াদের হাতে-কলমে কাজ শেখানো দরকার বলে তিনি মনে করেন। তাঁর কথায়, “ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে পড়ুয়ারা হাতে কাজ শিখবেন। তাঁদের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা হবে। দক্ষতা বাড়বে। এর ফলে ভারতের দক্ষ কর্মীর অভাব পূরণ হবে।” কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।