কলকাতা: সেজে উঠেছে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর ত্রিবেণী মহাসঙ্গম। মহাকুম্ভের ত্র্যহস্পর্শে জড়ো হয়েছেন পুণ্যার্থীরা। যার জেরে বছরের শুরুতেই বাড়তি গতি পেয়েছে দেশের পর্যটন। কুম্ভের স্পর্শে ভারতের জিডিপিতে যে শুভ প্রভাব পড়বে এমনটাই অনুমান করছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু ‘পাপ ধুয়ে ফেলার’ এই সময়কালে, কোন ‘পাপে’ এত ক্ষতি হচ্ছে শেয়ার বাজারে? প্রশ্ন তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহের পর আজও বাজার খুলতেই বজায় রইল ট্রেন্ড। হুড়মুড়িয়ে পড়ছে শেয়ার বাজার। কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও প্রশস্ত হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের।
এদিন বাজার খুলতেই ৯০৯ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। পিছিয়ে নেই নিফটি ৫০-ও। সেনসেক্সের জুতোয় পা গলিয়ে ৩০৯ পয়েন্ট পতন হয় নিফটির। সপ্তাহের শুরুতেই ১ শতাংশ ধস দেখা গিয়েছে মার্কেটে। কিন্তু, কবে এই বিপদ জাল থেকে মুক্তি পাবেন বিনিয়োগকারীরা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ার বাজারের এই ট্রেন্ড নাকি একদমই নতুন নয়। গত দু’দশক ধরেই কুম্ভমেলা শুরু হতেই পড়ে যায় মার্কেট। আর মেলা শেষ হলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে সে।
গড়ে ৫২ দিন ধরে চলে এই কুম্ভ মেলা। আর এই দু’মাসে মোট ৩ শতাংশের কাছাকাছি শেয়ার বাজারে পতন দেখা যায় বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এর আগে ২০২১ সালে কুম্ভ চলাকালীন ১৮ দিনে মোট ৪ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। ২০১৫ সালে মোট আট শতাংশ পড়েছিল মার্কেট। তারপর ২০০৪ সালে পতন দেখা গিয়েছিল ৩ শতাংশ। কুম্ভ আসে মানুষের পাপ ধোয়াতে। আর এই সময় কার্যত নিজের ‘পাপও’ যেন ধুয়ে ফেলে শেয়ার বাজার, দাবি একাংশের। এই সময়কালেই ওভারভ্যালুড থেকে সঠিক দামে নেমে আসে একাধিক শেয়ারের দাম।