মুম্বই: অসামান্য এক রত্ন হারিয়েছে দেশ। গত ৯ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন টাটা গোষ্ঠীর অন্যতম কাণ্ডারী রতন টাটা। তাঁর মৃত্যুতে শোকাতুর দেশবাসী। তাঁর মানবতা, আন্তরিকতা, দূরদর্শিতার স্মৃতিচারণ করছেন সবাই। এবার রতন টাটার অজানা কিছু কাহিনি ভাগ করে নিলেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন।
লিঙ্কডইনে রতন টাটার স্মৃতিচারণ করে এন চন্দ্রশেখরন লেখেন, “যে-ই রতন টাটার সঙ্গে দেখা করতেন, তাঁর মানুষের প্রতি ভালবাসা, আন্তরিকতা ও দেশের জন্য স্বপ্নগুলি শুনে মুগ্ধ হয়ে যেতেন। সত্যিই ওঁর (রতন টাটা) মতো কেউ হয় না।”
রতন টাটার পোষ্য প্রেমের কথা বলতে গিয়ে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান বলেন যে যখন বম্বে হাউস (টাটা গ্রুপের সদর দফতর) সংস্কারের কথা চলছিল, সেই সময় রতন টাটা বলেছিলেন যে কর্মীদের কাছে এই দফতর যে ‘মন্দির’ মর্যাদা পেয়েছে, তা যেন কোনওভাবে নষ্ট না হয়। সংস্কারের কথা শুরু হতেই রতন টাটা সে সময় বলেছিলেন, “একটা কথা জিজ্ঞাসা করব? তুমি যখন সংস্কারের কথা বলছো, তার মানে কি খালি করা?”
এন চন্দ্রশেখরন বোঝান যে সংস্কারকাজের জন্য সকল কর্মীদের অন্য অফিসে স্থানান্তর করা হবে, তখন রতন টাটা বলেন, “আর কুকুরগুলো কোথায় যাবে?”। বম্বে হাউসে থাকা কুকুরদের জন্য আলাদা কেনেলের ব্যবস্থা করা হবে, এই উত্তর শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন রতন টাটা। সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার পরও তিনি সবার প্রথম কেনেলই দেখতে চেয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন যে রতন টাটা যখন কোথাও যেতেন, সমস্ত বিষয় খুঁটিয়ে দেখতেন। অসাধারণ স্মৃতিশক্তির জন্য তিনি বিল্ডিংয়ের রঙ থেকে শুরু করে কোথায় কী লাইট রয়েছে, কোন আসবাব রয়েছে, সব মনে রাখতে পারতেন ছবির মতো।