কলকাতা: গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যাডব, আইবিএম, স্টারবাকস, ডিউরেক্সের মতো ১৫টি বহুজাতিক সংস্থা। দুনিয়ার সবথেকে বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলিকে যে ক্লাব, এরা প্রত্যেকেই সেই সিজি-৫০ এর সদস্য। এই ১৫টি সংস্থার ভার এখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বা একেবারে খাঁটি ভারতীয়দের হাতে। সূত্রের খবর, এসব সংস্থা যে সব সিইও-র চালাচ্ছেন তাঁরা কেউ কেউ ভারতে বড় হয়েছেন, কারও আবার জন্ম ও পড়াশোনা বিদেশে। তবে ভারতের সঙ্গে নাড়ির যোগ ছিন্ন হয়নি এখনও।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ভারতীয় সিইও-র দায়িত্ব নেওয়ার পর সাফল্যের নতুন মাইলস্টোন ছুঁয়েছে ১৫টি বহুজাতিক সংস্থা। গত ২ বছরে ব্যবসা বেড়েছে গড়ে ১৮ শতাংশ। বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে ভারতীয় সিইও-দের তালিকায় রয়েছে অনেক উজ্জ্বল নাম। মাইক্রোসফটের সিইও হিসাবে ছাপ রয়েছে সত্য নাদেল্লার। নাদেল্লার নেতৃত্বে প্রতি বছর গড়ে ১৮ শতাংশ ব্যবসা বেড়েছে বলে খবর। সুন্দর পিচাই গুগলের সিইও হওয়ার পর বহুজাতিক এই মার্কিন সংস্থার মোড় ঘোরা শুরু হয়। তাঁর সাফল্যও নজরকাড়ার মতো। গুগলের লাভজনক ব্যবসাকে আলাদা করা, সার্চ ইঞ্জিন থেকে আয় বাড়ানো, গুগলের অন্য প্রোডাক্টকে ইউজার ফ্রেন্ডলি করা সহ একাধিক কাজে তাঁর ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ছাপ রেখেছেন সুন্দর।
অন্যদিকে অ্যাডবের সিইও শান্তনু নারায়ন, আইবিএমের অরবিন্দ কৃষ্ণা, মাইক্রনের সঞ্জয় মাহেরাত্রা, গো ড্যাডির আমান ভুটানি, স্টারবাকসের লক্ষ্মণ নরসিংহান, সকলেই নিজের নিজের জায়গায় স্বমহিমায় উজ্জ্বল। কয়েকদিন আগেও এই তালিকায় ছিলেন টুইটারের সিইও পরাগ আগারওয়াল। এলন মাস্ক টুইটার কেনার পর তিনি সংস্থা ছাড়েন। সূত্রের খবর, সবমিলিয়ে এই ১৫ জন ভারতীয় সিইও-র হাতে রয়েছে ৪৫ কোটি ডলারের সম্পদ। তাই এখন থেকে এখন থেকে কিছু বছর পর যদি দেখা যায় মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুকের দায়িত্ব কোনও ভারতীয় সামলাচ্ছেন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।