এক বছরেই হাজার কোটি আয়! তিরুপতি মন্দিরের হুন্ডিতে যা যা মিলল, তাতে চোখ কপালে উঠবে
Tirupati Temple: প্রতিদিনই হুন্ডি স্থানান্তরিত করা হয়। সোনা, রুপো ও দামি রত্ন রাখা হয় বিশেষ লকারে। টাকাপয়সা তিরুপতি মন্দিরের ট্রেজারে জমা থাকে। প্রতি মাসে এই অর্থ স্থানান্তর করা হয়।
চেন্নাই: বছর শেষে খুলল ভাণ্ডার। বেরিয়ে এল কোটি কোটি টাকা আর সোনা-দানা। ভাবছেন কোথায় এত সম্পদের খোঁজ মিলল? তিরুপতি মন্দিরে। সেখানে হুণ্ডি খুলতেই সোনা, রুপো, নগদ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা মিলল। দেবতাকে উৎসর্গ করা এই সম্পদের পরিমাণ ১৩৬৫ কোটি টাকায়। এটা এক বছরের অনুদান।
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমে প্রতি বছরই লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। সেখানের আরাধ্য দেবতা ভেঙ্কটেশ্বর। ভক্তরা দেবতাকে উৎসর্গ করেন নানা জিনিস। ভক্তদের অনুদান জমা থাকে দানবাক্সে, যা হুন্ডি নামে পরিচিত। এবার হুন্ডি খোলা হল। আর তাতেই মিলল ১৩৬৫ কোটি টাকা।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে তিরুপতি মন্দিরে ২.৫৫ কোটি ভক্ত এসেছিল। অনুদানের টাকা ও সোনা-দানা মিলিয়ে মোট ১৩৬৫ কোটি টাকার অনুদান জমা পড়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১৩৯১.৮৬ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। ২০২২ সালে ১২৯১.৬৯ কোটি টাকা অনুদান জমা পড়েছে।
প্রতিদিনই হুন্ডি স্থানান্তরিত করা হয়। সোনা, রুপো ও দামি রত্ন রাখা হয় বিশেষ লকারে। টাকাপয়সা তিরুপতি মন্দিরের ট্রেজারে জমা থাকে। প্রতি মাসে এই অর্থ স্থানান্তর করা হয়।
তিরুপতি মন্দিরে এ বছরে ৯৯ লক্ষ মানুষ নিজেদের চুল দান করেছেন। অন্ন প্রসাদ দেওয়া হয়েছে ৬.৩০ কোটি মানুষকে। তিরুপতির বিখ্যাত লাড্ডু বিক্রি হয়েছে ১২.১৪ কোটি।
শুধু আয় নয়, ব্যয়ও করেছে তিরপতি মন্দির। ১৭৭৩ কোটি টাকা মানবসম্পদে অর্থাৎ মন্দিরের পুরোহিত ও কর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়ায় ব্যয় করা হয়েছে। ৩৫০ কোটি টাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের জন্য ব্যয় করা হয়েছে। রাজ্য সরকারকেও ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে মন্দিরের তরফে।