নয়াদিল্লি: আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রতিবছরের ন্যয় এই বছর সকাল ১১ টা থেকে শুরু হবে বাজেট পেশ। ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে পেশ করা হবে বাজেট, এমনটাই খবর। তবে সেই বাজেট পেশ হওয়ার আগে করতে হবে মিষ্টি মুখ।
আর সেই মিষ্টি মুখের জন্য আজকের দিনটিকেই নির্বাচন করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের আগে শুক্রবার অর্থাৎ আজ সন্ধ্যায় পালন হবে হালুয়া উৎসব।
কী এই হালুয়া উৎসব?
বাজেট পেশের ৯ থেকে ১০ দিন আগে পালন করা হয় হালুয়া উৎসব। যার সম্পূর্ণে দায়িত্বে থাকেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। প্রতি বছরের মতোই এই বছরও পালন হবে হালুয়া উৎসব। নয়া দিল্লির নর্থ ব্লক এলাকায় অর্থমন্ত্রীর বাসভবনের রান্নাঘরে তৈরি করা হবে হালুয়া। রান্নায় হাত লাগাবেন খোদ অর্থমন্ত্রীও। তারপর এটি পরিবেশন করা হবে বাজেট কমিটির সদস্যদের।
কী কারণে পালন হয় এই উৎসব?
বছর বছর ধরে বাজেট পেশের একদম অন্তিম পর্বের সংজ্ঞা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই উৎসব। হালুয়া উৎসবের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যাওয়া মানেই তৈরি হয়ে গিয়েছে বাজেট। তবে শুধুই অন্তিম পর্বকে ইঙ্গিত দেওয়াই নয়। বাজেট পেশের আগে ‘লক-ইন’ পর্বের সূচনাও হয় এই হালুয়া উৎসবের হাত ধরে। মিষ্টিমুখের পরেই একেবারে নিভৃতে থাকতে হয় বাজেট কমিটির সদস্যদের। মূলত, বাজেটের মধ্যে থাকা তথ্যগুলির গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতেই এই রীতি পালন হয়।
হালুয়া উৎসবের ইতিকথা
স্বাধীনতার কয়েক দশক পর থেকে বাজেটের অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছে এই হালুয়া উৎসব। ১৯৫০ সালে বাজেট লিক-কাণ্ডের পর বাজেটের মধ্যে থাকা তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এই উৎসবের সূচনা। সে বছর বাজেট লিক-কাণ্ডের পর বাজেটের নিরাপত্তার দিকে নজর দেয় কেন্দ্র সরকার। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও, দুই দশক পর ১৯৮০ সালে হালুয়া উৎসবের মাধ্যমে লক-ইন পর্বে সূচনা করে সরকার। আর সেই থেকেই বছর বছর ধরে পালন হচ্ছে এই রীতি।