নয়া দিল্লি: দেশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে অপেক্ষাকৃত কম খরচে যাওয়ার উপায় হল রেল। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম, প্রায় সর্বত্রই রয়েছে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বর্তমানে রেলে অনেক আধুনিক ব্যবস্থা এসেছে। বদলেছে স্টেশনের চেহারা, উচ্চগতির ট্রেন চলছে ট্র্যাকে। কিন্তু একই আছে সেই রেল লাইন। কোথাও শহরের মাঝখান দিয়ে, কোথাও ফাঁকা মাঠের ভিতর দিয়ে গিয়েছে রেলপথ। কখনও রোদে পুড়ছে সেই লাইন, কখনও জল জমছে সেই রেলপথের ওপর। তারপরও লাইনের খুব বেশি ক্ষতি হয় না। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে, কী দিয়ে তৈরি হয় রেল ট্র্যাক?
বাড়িতে লোহা বা স্টিলের জিনিসপত্রের ক্ষেত্রে মরচে পড়তে দেখা যায়। মূলত লোহা অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে এভাবে মরচে পড়ে। তাহলে রেল লাইনে মরচে পড়ে না কেন? আসলে রেল ট্র্যাকের জন্য থাকে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা। তার জন্যই মরচে পড়ে না। আসলে এ ক্ষেত্রে বিশেষ ধাতু ব্যবহার করা হয়, যাতে মরচে না পড়ে।
যাতে দীর্ঘদিন রেল লাইন ঠিক থাকে, সে দিকে নজর রেখেই তৈরি করা হয়। লাগানো হয় বিশেষ ধরনের কোটিং। মরচে আটকাতে গ্যালভানাইজ করা হয় ট্র্যাক। বাইরের পরিবেশ আর কোটিং-এর মধ্যে দেওয়ালের মতো থাকে এই কোটিং। ফলে জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে আসতে পারে না ট্র্যাকের ধাতু।
তবে শুধু একবার কোটিং দিয়েই কাজ শেষ করে না রেল। বারবার তা রক্ষণাবেক্ষণও করতে হয়। পর্যবেক্ষণ করতে হয়, পরিষ্কার রাখতে হয়। কোনও অংশ খারাপ হয়েছে মনে হলেই সঙ্গে সঙ্গে তা সরানোর ব্যবস্থা করতে হয়।