Success Story: সবজিওয়ালার ছেলে থেকে আধিকারিক, প্রথমবারেই ‘জ্যাকপট’, কীভাবে জীবনে এল সাফল্য?
Success Story: মধ্যপ্রদেশের একেবারে দরিদ্র পরিবারে জন্ম আশীষের। বড় হয়েছেন আর্থিক অনটনের সঙ্গেই। তাঁদের সংসারে দারিদ্র ছিল একেবারে পরিবারের সদস্যর মতো। কোনও মতেই পিছু ছাড়ে না। বাবা সামান্য সবজি বিক্রেতা। মা গৃহবধূ। দাদা কাজ করতে এলাকার একটি শাড়ির দোকানে। আর তাদের সবার আয় মিলিয়ে চলত গোটা সংসার।
ভোপাল: আর্থিক কষ্টই একটা মানুষকে ঠেলে দেয় তাঁর সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্জন দিকে, এমনটাই বলে থাকেন অনেকে। একটা মানুষ তাঁর জীবনে নাকি যত বাধার সম্মুখীন হবেন, নিজের স্বপ্নকে জয় করতে ততই আগ্রাসী হয়ে উঠবে সে। এমনটাই কিন্তু ঘটেছিল মধ্যপ্রদেশের আশীষ সিংহ চৌহনের সঙ্গে। বর্তমানে তিনি মধ্য়প্রদেশ শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক। কিন্তু এতটা পথ হেঁটে আসা তাঁর পক্ষে মোটেই সহজ ছিল না।
মধ্যপ্রদেশের একেবারে দরিদ্র পরিবারে জন্ম আশীষের। বড় হয়েছেন আর্থিক অনটনের সঙ্গেই। তাঁদের সংসারে দারিদ্র ছিল একেবারে পরিবারের সদস্যর মতো। কোনও মতেই পিছু ছাড়ে না। বাবা সামান্য সবজি বিক্রেতা। মা গৃহবধূ। দাদা কাজ করতে এলাকার একটি শাড়ির দোকানে। আর তাদের সবার আয় মিলিয়ে চলত গোটা সংসার।
সরকারি স্কুলে পড়াশোনা। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের হামিদিয়া কলেজ থেকে। তবে সেখানেই তাঁর পড়াশোনা থেমে যায়নি। ইচ্ছা ছিল গবেষণা করারও। আপাতত, জীবনে গতি আসতেই ইন্দোর থেকে নিজের গবেষণা পর্বের পড়াশোনার সেরে ফেলার ব্যবস্থা করে নিয়েছেন তিনি।
কলেজে পড়াশোনা করার সময়কাল থেকেই মন বসেছিল সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায়। কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা বা UPSC দেননি। কিন্তু একগ্রতার সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়েছেন রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চাকরির জন্য। আর পরিশ্রমেই মিলেছে ফল। আশীষ জানিয়েছেন, পরীক্ষার মাস দুয়েক আগে থেকেই দিনে ১২ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতেন তিনি। আর সেই পরিশ্রমেই ঘুরল ভাগ্যের চাকা।
২০২২ সালে মধ্যপ্রদেশ স্টেট সার্ভিস পরীক্ষায় বিরাট মার্জিন উত্তীর্ণ হলেন তিনি। প্রথমবার পরীক্ষায় বসেই খুলে দিলেন সাফল্যের দুয়ার। পেয়ে গেলেন রাজ্য শিক্ষা দফতরে আধিকারিকের পদ।