Forensic Science: ফরেনসিক সায়েন্স নিয়ে কেন পড়াশোনা করবেন? কী লাভ হয় জানেন?
Career Tips: ফরেনসিক সায়েন্স (Forensic Science)হল এমন একটি বিজ্ঞানভিত্তিক শাখা, যার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো অপরাধ তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। এর মধ্যে রয়েছে রক্ত, আঙুলের ছাপ, চুল, ডিএনএ, অস্ত্র, নেশাজাতীয় দ্রব্য, নথিপত্র বিশ্লেষণ, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ইত্যাদি।

ফরেনসিক সায়েন্স (Forensic Science)হল এমন একটি বিজ্ঞানভিত্তিক শাখা, যার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো অপরাধ তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। এর মধ্যে রয়েছে রক্ত, আঙুলের ছাপ, চুল, ডিএনএ, অস্ত্র, নেশাজাতীয় দ্রব্য, নথিপত্র বিশ্লেষণ, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ইত্যাদি। সহজভাবে বললে, এটি বিজ্ঞানের এমন ব্যবহার যা অপরাধী সনাক্তকরণ, বিচার প্রক্রিয়া এবং নির্দোষ ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
কেন ফরেনসিক সায়েন্স পড়া জরুরি?
১. আইনি প্রমাণ সংগ্রহের জন্য: ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা অপরাধস্থলে থেকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণ সংগ্রহ করে, যা আদালতে উপস্থাপনযোগ্য হয়। ভুল তদন্তের ফলে নির্দোষ ব্যক্তি দোষী হতে পারে, তাই সঠিক ও নির্ভুল প্রমাণ দরকার।
২. ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে: এই শাখা আদালতকে অপরাধের প্রকৃতি ও সংশ্লিষ্টদের সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিয়ে সহায়তা করে, যার ফলে সঠিক বিচার নিশ্চিত হয়।
৩. প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ: ফরেনসিক সায়েন্সে পড়লে একজন ব্যক্তি ল্যাবরেটরি বিশ্লেষণ, ডিএনএ প্রোফাইলিং, সাইবার ফরেনসিক, টক্সিকোলজি প্রভৃতি আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে পারেন।
৪. সমাজে কার্যকর অবদান রাখার সুযোগ: একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অপরাধ কমাতে সাহায্য করতে পারেন, সমাজে নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে ভূমিকা রাখতে পারেন।
কেরিয়ার অপশন কী কী?
১. ফরেনসিক সায়েন্টিস্ট: বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি ল্যাবে কাজ করে প্রমাণ বিশ্লেষণ করেন।
২. ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেটর (CSI): ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রমাণ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে কাজ করেন।
৩. ডিএনএ অ্যানালিস্ট: ডিএনএ পরীক্ষা করে অপরাধী শনাক্ত বা আত্মীয়তা নির্ধারণে কাজ করেন।
৪. টক্সিকোলজিস্ট: মৃতদেহে বা বস্তুতে বিষ বা রাসায়নিক পরীক্ষা করেন।
৫. সাইবার ফরেনসিক এক্সপার্ট: ডিজিটাল অপরাধ যেমন হ্যাকিং, সাইবার ক্রাইম তদন্ত করেন।
৬. লেকচারার বা গবেষক: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো বা গবেষণার মাধ্যমে এ শাখায় অবদান রাখতে পারেন।
ফরেনসিক সায়েন্স একটি চ্যালেঞ্জিং ও সম্মানজনক পেশা, যেখানে বিজ্ঞান ও ন্যায়বিচারের সংমিশ্রণ রয়েছে। এটি তাদের জন্য আদর্শ, যারা সত্য উদঘাটনে আগ্রহী এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান।
