AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, খসড়া তালিকায় নিজের নাম দেখেই তাজ্জব বনে গেলেন

SIR In WB: এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং, সরকারি নথিতে ‘মৃত’ দেখানো নন্দলাল রামকে পাশে বসিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে খুশি করতে তাড়াহুড়ো করে এসআইআর প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।

Jalpaiguri: দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, খসড়া তালিকায় নিজের নাম দেখেই তাজ্জব বনে গেলেন
নন্দলাল রায় Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2025 | 7:37 PM
Share

জলপাইগুড়ি: খসড়া ভোটার তালিকায় জীবিত ব্যক্তি মৃত! এসআইআর প্রকাশ হতেই চাঞ্চল্য ধূপগুড়িতে। জীবিত মানুষকে সরকারি নথিতে মৃত দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পাড়া এলাকায়। ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজেও।

অভিযোগ, রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা নন্দলাল রাম প্রতি বছর নিয়মিত ভোট দিয়ে আসছেন। ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে, এমনকি সম্প্রতি বিএলও তাঁর বাড়িতে এসআইআর ফর্ম দিয়েও যান এবং সেই ফর্ম তিনি যথাযথভাবে জমা দেন। অথচ এসআইআর-এর প্রকাশিত খসড়া তালিকায় দেখা যায়, এক নম্বরে নন্দলাল রায়কে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে।

খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই চোখ কপালে ওঠে নন্দলাল রায়ের। সরকারি কাগজে নিজেকে মৃত দেখে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, এর ফলে সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও তিনি বঞ্চিত হতে পারেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং, সরকারি নথিতে ‘মৃত’ দেখানো নন্দলাল রামকে পাশে বসিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে খুশি করতে তাড়াহুড়ো করে এসআইআর প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। তার ফলেই কোথাও জীবিত মানুষকে মৃত, আবার কোথাও নিখোঁজ দেখানো হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি তৃণমূলের।

অন্যদিকে, নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দফতরে দফতরে ঘুরতে হচ্ছে নন্দলাল রায়কে। মানসিক চাপ ও চরম হেনস্তার শিকার হচ্ছেন তিনি বলে অভিযোগ। দ্রুত এই ভুল সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন নন্দলাল রায় ও তাঁর পরিবার।