SIR in Bengal: SIR-এ বাবার পদবী বিভ্রাটে শোভনদেবের পুত্র, তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী
Sovandeb Chattopadhyay: নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সার্টিফিকেটে ও ভোটার তালিকায় নামের বানান অন্য রয়েছে। তাতেই বলছে তোমার নাম বাদ যাবে। কেন যাবে? নির্বাচন কমিশন যদি আমার নাম ভুল তোলে, তার দায় আমি কেন নেব? এরকম ভূরি ভূরি অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। আমার ছেলে সায়নদেবের সঙ্গেও এমন হয়েছে।"

কলকাতা: চ্যাটার্জি আর চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে কি কোনও পার্থক্য রয়েছে? নাকি একই? SIR-র ‘সৌজন্যে’ এখন এই প্রমাণ দিতে হবে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়কে। সায়নদেবের পিতার জায়গায় লেখা রয়েছে শোভনদেব চ্যাটার্জি। চ্যাটার্জি আর চট্টোপাধ্যায় যে একই, সেই প্রমাণ এবার দিতে হবে সায়নদেবকে। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এসআইআর-এ খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নানা বিভ্রান্তি সামনে এসেছে। ডানকুনির পৌরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকে মৃত দেখানো হয়েছে। প্রতিবাদে শ্মশানে চলে যান সূর্য দে নামে ওই কাউন্সিলর। আবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা পৌরসভায় নিজের ডেথ সার্টিফিকেট আনতে ছুটেছিলেন এক ব্যক্তি। কারণ, খসড়া তালিকায় তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে।
এবার নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সার্টিফিকেটে ও ভোটার তালিকায় নামের বানান অন্য রয়েছে। তাতেই বলছে তোমার নাম বাদ যাবে। কেন যাবে? নির্বাচন কমিশন যদি আমার নাম ভুল তোলে, তার দায় আমি কেন নেব? এরকম ভূরি ভূরি অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। আমার ছেলে সায়নদেবের সঙ্গেও এমন হয়েছে।”
তিনি বলেন, “সায়নদেবের বাবার নাম শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই তালিকায় চ্যাটার্জি করা রয়েছে। এখন ওকে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে গিয়ে দেখাতে হবে। চ্যাটার্জি ও চট্টোপাধ্যায় যে আলাদা হয়ে যাচ্ছে, এও আমি বুঝতে পারছি না। আগে কোনওদিন এসব ছিল না। আগে শোভনদেব চ্যাটার্জি লিখে ছেড়ে দিত। এখন নাকি চট্টোপাধ্যায় লেখা না থাকলে নাম বাদ দেবে। বাড়িতে এসে বলে গিয়েছে, ডকুমেন্ট নিয়ে আসবেন।” তাঁর ছেলেকে হিয়ারিংয়ে ডাকা হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হলে শোভনদেব বলেন, “হিয়ারিংয়ে ডাকেনি। তবে বিএলও জানিয়েছেন, আমি এই জায়গায় বসছি। নামটা গিয়ে সংশোধন করে আসবেন।”
এর আগে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের পুত্র অতীশ আজিজ অভিযোগ করেছিলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর ও সেলিমের পদবি বদলে দেওয়া হয়েছিল। পদবির জায়গায় লেখা ছিল অবস্থি। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে। তারপর পদক্ষেপ করে কমিশন। ইআরও-র কাছে থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিশন জানায়, যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। মহম্মদ সেলিমের নাম সংক্রান্ত কোনও ভুল নেই।
