Municipal Corporation Election 2022: ভোট পিছোতে পারে ২ সপ্তাহ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে বৈঠকে কমিশন

Municipal Corporation Election 2022: বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি রাজ্যের শাসকদলই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে, তাহলে কমিশনকে বাকি দলগুলির প্রস্তাবও গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতেই হবে।

Municipal Corporation Election 2022: ভোট পিছোতে পারে ২ সপ্তাহ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে বৈঠকে কমিশন
(ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2022 | 10:42 AM

কলকাতা: সম্ভবত পিছিয়ে যাচ্ছে পুরভোট। চার পৌরনিগমের ভোট পিছিয়ে যেতে পারে ২ সপ্তাহ। এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পুরভোট পিছনোর আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। তার আগে একই আবেদন জানিয়েছে বিজেপি, বামেরা। কোভিড পরিস্থিতির জেরে শুক্রবারই ভোট পিছনোর প্রস্তাব দিয়েছে  আদালত। সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। পুরভোট নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসবে কমিশন। এদিন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে কমিশনের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি রাজ্যের শাসকদলই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে, তাহলে কমিশনকে বাকি দলগুলির প্রস্তাবও গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতেই হবে। বিজেপি, সিপিআইএম প্রত্যেকের পক্ষ থেকেই ভোট পিছনোর আবেদন আগেই জানানো হয়েছে। শুক্রবার আদালতকে আলাদা করে বিজেপি উল্লেখও করেছে. যাতে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার নির্বাচন কমিশন বৈঠকে বসবে। নিজেদের মধ্যে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। মনে করা হচ্ছে, ২ সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে পুরভোট।

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য,  পুরভোট ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পুরভোট পিছনো যায় কি? তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে হাইকোর্ট। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, মামলাকারী আইনজীবীরা যাবতীয় নথি কমিশনে জমা করতে পারেন। অবশ্যই যদি কমিশন সেটি চায়। অর্থাৎ কোথায় কী কোভিড পরিস্থিতি, কোন জেলায় কী অবস্থা, তা মামলাকারীরা কমিশনের সামনে তুলে ধরতেই পারেন।

আরও একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, বাকি ১০৮ টা পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে। যদি ভোট পিছোতে হলে, তা ফেব্রুয়ারি মাঝ পর্যন্ত চলেই যাবে। তাহলে প্রশ্ন, এই চার পৌরনিগমের ভোট করানোর পরই কি ১০৮ টা পৌরসভার ভোট হবে? তা নিয়ে কিন্তু জটিলতা থাকছেই। সেটা সম্ভব নয়, কারণ ওত সংখ্যক ইভিএম নেই। এই যাবতীয় বিষয় নিয়েও রাজ্যের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। আপাতত প্রাথমিকভাবে এই পৌরনিগমের ভোট হবে, সেই সিদ্ধান্ত একাই নিচ্ছে কমিশন।

গোটা বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কিন্তু ভোট পিছানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিল কমিশন ও রাজ্য সরকার। তবে শুক্রবারের অর্ডারে আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব কেবল কমিশনেরই। এক্ষেত্রে এদিনের অর্ডারে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক জাজমেন্টের উল্লেখও করেছিলেন বিচারপতি। অর্ডারের একেবারের শেষ পংক্তিতে সেই বিষয়টি উল্লেখ করা ছিল।

আদালতের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদেরকেও বলা হয়েছে, আমাদের কাছে যা নথি আছে, তা কমিশনকে জমা দিতে। আমরাও আবেদন জানাব। যাতে নির্বাচন পিছনো যায়।” কমিশন শনিবারই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছে এক প্রস্থ। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনাও করেছে।  সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, ভোট পিছোচ্ছেই। তবে তা কতটা, সেটাই আজ জানাবে কমিশন।

আরও পড়ুন: Bikaner Guwahati Express Train Accident Update: রাতভর কাজের পরও শেষ হয়নি মেরামতি, আজই দোমহনির সেই অভিশপ্ত স্থলে ফরেন্সিক টিম