AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bikaner Guwahati Express Train Accident Update: রাতভর কাজের পরও শেষ হয়নি মেরামতি, আজই দোমহনির সেই অভিশপ্ত স্থলে ফরেন্সিক টিম

Bikaner Guwahati Express Train Accident: দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিনও লাইনে দাঁড় করানো রয়েছে। এ দিকে আজই দোমহনিতে রেলের ফরেন্সিক দল। রেলওয়ে সেফটি কমিশনের অফিসারও এদিন দোমহনিতে রয়েছেন।

Bikaner Guwahati Express Train Accident Update: রাতভর কাজের পরও শেষ হয়নি মেরামতি, আজই দোমহনির সেই অভিশপ্ত স্থলে ফরেন্সিক টিম
দোমহনির দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে ফরেন্সিক টিম (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2022 | 10:51 AM
Share

জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির দোমহনিতে রেল লাইন মেরামতির কাজ এখনও শেষ হয়নি। রাতভর লাইন মেরামতিতে ব্যস্ত ছিলেন রেলকর্মীরা। শনিবার সকালেও লাইন মেরামতি ও নতুন রেল লাইন বসানোর কাজ চলছে। লাইনচ্যুত হওয়া বিকানের এক্সপ্রেস ট্রেনের সব কামরা এখনও সরানো সম্ভব হয়নি। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিনও লাইনে দাঁড় করানো রয়েছে। এ দিকে শনিবারই দোমহনিতে যাবে রেলের ফরেন্সিক দল। রেলওয়ে সেফটি কমিশনের অফিসারও এদিন দোমহনিতে রয়েছেন।

এদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে একটি ভালো খবরও মিলেছে। জলপাইগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে শুক্রবার রাতে চার যাত্রীকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁরা হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন। তাই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থা ভাল থাকলে শনিবারও কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, ময়নাগুড়ি হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদেরও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

তবে ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর অধরাই। শীতে রেললাইনে সংকোচন প্রসারণ স্বাভাবিক ঘটনা। গ্যাংমানদের নজরদারি কি ছিল না? গুয়াহাটি বিকানির এক্সপ্রেসের সব বগি নিয়মিত পরীক্ষা হত? কেন ওই ট্রেনে এলএইচবি কোচ লাগানো হয়নি? রেলমন্ত্রকের কাছে এই সব প্রশ্ন থাকছেই।

তবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, “আমি নিজে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেছি। আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেক্ষেত্রে যে ইক্যুইপমেন্টগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি সংগ্রহ করে ভাল করে খতিয়ে দেখা হবে। সেখানে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু চিহ্নও পাওয়া যেতে পারে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার শিকড়ে গিয়ে তদন্ত করা হবে।”

উল্লেখ্যযোগ্য, এসব জটিলতার মাঝেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন উত্তম রায় নামে এক ব্যক্তি । উত্তম রায় ওই ট্রেনের এস-১৩ কামরায় ছিলেন । দুর্ঘটনার কবলে পড়া রেলের চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি।

অভিযোগে উত্তম রায় জানিয়েছেন, ঘটনার দিন আনুমানিক ৪ টে ৪৫ মিনিট নাগাদ ট্রিনটির চালক প্রচণ্ড জোরে ব্রেক কষেন যার জেরে তীব্র ধাক্কা লাগে এবং ট্রেনের বগিগুলি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনায় আহত হয় উত্তম রায়। তাঁর ছেলে দ্বীপ রায়ের মাথা ফেটে যায়।

যদিও রেল চালক প্রদীপ  কুমারের বক্তব্য, “তখন ১৬টা বেজে ৫২-৫৩ মিনিট হবে। আচমকাই একটা ভীষণ ঝাঁকুনি অনুভব করি। তারপরই এর্মাজেন্সি ব্রেক কষি। পিছনে কী হচ্ছে, আমার পক্ষে জানাটা সম্ভব ছিল না। যখন দেখি, তখন পিছনের ৬ চাকা লাইনচ্যুত হয়েছিল। কারণ আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। ট্র্যাকশন মোটর খোলা ছিল কিনা, সেটা জানা আমার পক্ষে কোনওপক্ষেই সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “কী হয়েছে আর কী হয়নি, সেটা এখন তদন্তের পরই জানা যাবে। ট্র্যাকশন মোটর আগেই খোলা ছিল কিনা, সেটা তদন্তেই জানা যাবে।” ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। চালকের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। কথা বলেছেন রেলমন্ত্রী স্বয়ং। গোটা পরিস্থিতি এখন তদন্ত সাপেক্ষ। দুর্ঘটনার কারণ একেবারে তলিয়ে গিয়ে খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: Bikaner-Guwahati Express Accident: ‘একটা প্রবল ঝাঁকুনি, দু’বার ব্রেক কষেছিলাম…’ অভিশপ্ত সেই ট্রেনের চালকের কথায় উঠে এল ঘটনার বিভৎসতা