Akhilesh Yadav: ‘আমরাই দেখালাম বিজেপিরও আসন সংখ্যা কমানো সম্ভব’, দলের ভরাডুবির পরও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর অখিলেশ

Akhilesh Yadav: এদিন তিনি ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "সমাজবাদী পার্টি দেখিয়ে দিয়েছে যে বিজেপির আসন সংখ্যা কমানো সম্ভব।"

Akhilesh Yadav: 'আমরাই দেখালাম বিজেপিরও আসন সংখ্যা কমানো সম্ভব', দলের ভরাডুবির পরও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর অখিলেশ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 11, 2022 | 10:56 AM

লখনউ: প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, প্রতিদ্বন্দ্বীকে কড়া টক্কর দিয়ে জয়লাভও করেছেন তিনি। তবে ভরাডুবি রুখতে পারেননি দলের। ফের একবার উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মসনদে বসতে চলেছে শাসক দল বিজেপি(BJP)-ই। ফলঘোষণার একদিন পরই মুখ খুললেন সমাজবাদী পার্টি(Samajwadi Party)-র নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এদিন তিনি ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “সমাজবাদী পার্টি দেখিয়ে দিয়েছে যে বিজেপির আসন সংখ্যা কমানো সম্ভব।”

এদিন সকালেই টুইটারে ভোটারদের ধন্যবাদ জানান অখিলেশ যাদব। তিনি জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার আসন সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভোটের হারও দেড় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা দেখিয়েছি যে বিজেপির আসন সংখ্যাও কমানো সম্ভব। এই সংখ্যা কমতেই থাকবে। অর্ধেকের বেশি মিথ্যাচারীই সাফ হয়ে গিয়েছে, আগামিদিনে বাকিদেরও একই অবস্থা হবে। মানুষের জন্য এই লড়াই জারি থাকবে।”

গতকালই উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। উত্তর প্রদেশে ৪০৩টি আসনের মধ্যে ২৭৩টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ২০১৭ সালেই এই আসন সংখ্যা ছিল  ৩২২। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় এবারে বিজেপির ৪৯টি আসন কমেছে।

অন্যদিকে, অখিলেশ যাদবের দল ১১১টি আসনে জয়ী হয়েছে। জোটসঙ্গীদের মিলিয়ে মোট ১২৫টি আসনে জয়ী হয়েছে সপা। ২০১৭ সালের তুলনায় ৭৩টি আসন বৃদ্ধি হয়েছে সমাজবাদী পার্টির। এখনও অবধি এটাই সমাজবাদী পার্টির সবথেকে ভাল ফল। ২০১৭ সালের মতো এবার সমাজবাদী পার্টি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধেনি। সামান্য কথা এগোলেও শেষ অবধি মায়বতীর বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গেও জোট বাধা হয়নি।

ভোটের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, সমাজবাদী পার্টি বিজেপির ভোট শতাংশে কিছুটা ভাগ বসাতে পারলেও, কংগ্রেস ও বহুজন সমাজ পার্টি মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভোট শতাংশের হিসাবে সমাজবাদী পার্টি ৩২ শতাংশ ভোট পেয়েছে এবং বিজেপি ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছে।