শো-কজের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চেয়েছিল কমিশন, ‘খুনের’ নিদান দিলেন কেষ্ট, ফের বিতর্কে বীরভূমের ‘নায়ক’

উল্লেখ্য, বরাবর নিজের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে শিরোনামে উঠে আসা অনুব্রত মণ্ডল গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই কমিশনের নজরে রয়েছেন। তৃণমূল নেত্রীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে এ দিনও নির্বাচন কমিশনকে ‘ধৃতরাষ্ট্র’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি।

শো-কজের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চেয়েছিল কমিশন, 'খুনের' নিদান দিলেন কেষ্ট, ফের বিতর্কে বীরভূমের 'নায়ক'
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 14, 2021 | 11:43 AM

বীরভূম: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেবল স্নেহধন্য নন, তিনি আদপেই বীরভূমের একচ্ছত্র অধিপতি। বরাবর নিডর, নির্ভীক তিনি। এমনকী নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বারবার সমালোচনার ও নিন্দার সম্মুখীনও হয়েছেন তিনি। তবুও থামানো যায়নি তাঁকে। তিনি বীরভূমে তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ বার ফের বেফাঁস মন্তব্যের জেরে আলোচনার শীর্ষে কেষ্ট।

নির্বাচনে উস্কানিমূলক মন্তব্য, খুনের হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো ও অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাধাদানের জন্য অনুব্রতর বিরুদ্ধে পূর্বেই নির্বাচন কমিশনের (Election commission) কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক সভা থেকে তিনি ‘বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগারপার’ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শো-কজ করা হয় অনুব্রতকে। মঙ্গলবার রাত ১১ টার মধ্যেই জবাব তলব করা হয়েছিল। জবাব না এলে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করতে পারে নির্বাচন কমিশন এমনটাই জানানো হয়েছিল।

এ বার ফের বিতর্কিত মন্তব্য় করলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। শো-কজ হওয়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত বলেন, “দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা যে মন্তব্য করছেন তা ঠিক নয়। এটা যদি আমি বলতাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি নজরবন্দি হয়ে যেতাম। আমায় এইভাবে থামাবে ভেবেছে! লাভ নেই। আর ভোট শান্তিপূর্ণ হবে কি না ভবছেন! ২০১১ তে খুন হয়েছিল, ২০১৪ তে খুন হয়েছিল, ২০১৯ এ খুন হয়েছিল। এ বারেও হবে।”

উল্লেখ্য, বরাবর নিজের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে শিরোনামে উঠে আসা অনুব্রত মণ্ডল গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই কমিশনের নজরে রয়েছেন। তৃণমূল নেত্রীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে এ দিনও নির্বাচন কমিশনকে ‘ধৃতরাষ্ট্র’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি। মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনের নতুন মুখ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সুশীল চন্দ্র। কমিশনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর এ দিনও একে একে কমিশনের নোটিস খেয়েছেন একের পর এক বিজেপি ও তৃণমূল নেতারা। প্রথমে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার উপর ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নোটিস দিয়ে শো-কজ করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীকেও ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয় বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য।

আরও পড়ুন: ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে, খেলা শেষে হাসপাতালে যাবে’, সুর চড়ালেন অনুব্রত