‘বিরিয়ানি খাবেন না, ঘুমিয়ে পড়তে পারেন’ ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচাতে গণনাকারীদের সতর্ক মমতার
ভোট প্রচারের (West Bengal Assembly Election 2021) শেষ রোববার। তড়তড়িয়ে বাড়ছে উত্তাপ। আজকে অধিকারী গড়ে পরপর তিনটি সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
পূর্ব মেদিনীপুর: ভোট প্রচারের (West Bengal Assembly Election 2021) শেষ রোববার। তড়তড়িয়ে বাড়ছে উত্তাপ। আজকে অধিকারী গড়ে পরপর তিনটি সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হলদিয়ার সুতাহাটা, খেজুরির বামনচক ও পাঁশকুড়ার মেচোগ্রামে সভা থেকে মূলত অধিকারী পরিবারকেই নাম না করে তোপ দাগেন তিনি। এক সময়ে এই চত্বরে দলীয় সংগঠনের ভার ছিল যাঁদের ওপর, তাঁরাই আজ রাজনীতির ভার্টিক্যাল ট্রেন্ডিংয়ে জার্সি বদল করেছেন। নন্দীগ্রামে বিজেপির টিকিটে মমতার যুযুধান প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী।
LIVE NEWS & UPDATES
-
বিরিয়ানির প্যাকেটে বা পচা ঘোলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ভোট গণনায় বাধা দিতে পারে
ভোটের সময়ে কিছু করে টাকা দেয়। একেবারে নিজের ভোট নিজে দেবেন। ভোটের আগে মেশিন ভালো করে এজেন্টরা দেখে নেবেন। বিরিয়ানির প্যাকেটে বা পচা ঘোলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ভোট গণনায় বাধা দিতে পারে। গণনাকারীরা ঘুমিয়ে পড়লে ওদের লাভ। তাই এখন থেকেই সাবধান করে দিচ্ছি। ভোটের মেশিন নিয়ে খুব সাবধান: মমতা
-
নোটবন্দি করে সব লুঠ করেছে
নোটবন্দি করে সব লুঠ করেছে। গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। কেন ভোট দেব তোমাদের? সবাইকে বিনা পয়সায় গ্যাস দিতে হবে, সবাইকে বিনা পয়সায় উজালা দিতে হবে।
-
-
গ্রামের মানুষরা যাতে ভোট দিতে না পারে, তার চেষ্টা চলছে
বহিরাগত গুন্ডাদের ঢোকানোর প্ল্যান হচ্ছে। প্রত্যেক গ্রামে। যাতে গ্রামে গুন্ডা ঢোকাতে না পারে। নজর রাখুন, গ্রামের রাস্তা বন্ধ করা যাবে না। যাতে গ্রামের লোক ভোট দিতে না পারে, তার চেষ্টা চলছে। ভোট মেশিনের দিকে নজর রাখুন। ইলেক্ট্রনিক মেশিন দুবার করে চেক করতে হবে। দু’বার করে অন অফ করতে হবে। ভোট মেশিনে পাহাড়া না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সব গেলো।
-
‘বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পাই, বাংলায় নিজের মেয়েকেই চাই’
‘বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পাই, বিনা পয়সায় শিক্ষা পাই। যখন ডাকি তখন পাই। বহিরাগতদের নেই ঠাঁই। বাংলায় নিজের মেয়েকেই চাই’, স্লোগান তুলে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ময়নায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডঃ সংগ্রাম দলুইর হয়ে প্রচার করেন অভিষেক। সেখান থেকে অভিষেক বলেন, “পয়লা এপ্রিল এপ্রিল ফুল করতে হবে। পদ্মফুল যেন চোখে সরষে ফুল দেখে।”
-
আমি সচ্চা লোক, আমার সঙ্গে গদ্দারি করেছো
আমি প্যাঁ প্যাঁ করে সাইরেন বাজিয়ে ঘুরি না। ওরা পিছনে ২০টা গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আর সবার হাতে বড় বড় বন্দুক। যেন ওদের কেউ মেরে ফেলছে। আমি চাই না ওদের কেউ মারুক। আমি চাই ওরা এক এক জন ২০০ বছর করে বাঁচুক। আমি সচ্চা লোক, আমার সঙ্গে গদ্দারি করেছো।
-
-
আমি একটু বোকা, তাড়াতাড়ি মানুষকে বিশ্বাস করি, ঠকিও
আমি একটু বোকা। একটু সহজ সরল। আমি খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করে যাই। অনেক সময় বিশ্বাস করে ঠকিও। তবে ঠকে মজা পাই। কারণ পরে বিশ্বাসঘাতকদেরই মুখোশ খুলে যায়। কারণ আমার মুখোশ নেই।
-
আমার সরকারের মন্ত্রী করেছিলাম, তাই গদ্দাররা নাম কিনেছে নিজের
যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করেছি। করেছি আমি আমার সরকার। কিন্তু নাম কিনেছে গদ্দাররা। আমার সরকারের মন্ত্রী করেছিলাম, তাই নাম কিনেছে নিজের। দাসপুরে ক্লাস্টার্ড তৈরি করছি। আমাদের সরকার এলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ক্রেডিট কার্ড।
-
‘বিজেপি একটা ডাকাত পার্টি, আর আমাদের কিছু গদ্দাররা জুটেছে’
ভোট দিন গদ্দারদের বিরুদ্ধে, মির্জাফরদের বিরুদ্ধে। বিজেপি একটা ডাকাত পার্টি, সিপিএমের হার্মাদ আর আমাদের কিছু গদ্দাররা জুটেছে। বহিরাগত গুণ্ডাদের ঢুকতে দেবেন না। ভোটের মেশিন খারাপ হলে ধৈর্য্য ধরে বসে থাকবেন
-
‘যারা ওদের কথা শুনবে, তারাই থাকবে, যারা শুনবে না, থাকবে না’
পূর্ব মেদিনীপুর এক সময়ে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। নির্ভেদ রায়কে পছন্দ নয়, হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমএলএ সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মধুরিমা জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা ওদের কথা শুনবে, তারাই থাকবে। যারা শুনবে না, থাকবে না। কাজ করে নিজেদের নামে বোর্ড লাগিয়েছে।
-
পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড
আমাদের সরকার জিতলে বছরে চার বার দুয়ারে সরকার হবে। বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে যাবে। কৃষক, খেতমজুরদের টাকা বাড়িতে ১০ হাজার টাকা করা হবে। মহিলারা যাঁরা ঘরে বসে কাজ করেন, তাঁদের নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হাতখরচ ৫০০ টাকা দেওয়া হবে, আর তফশিলি জাতি উপজাতিদের জন্য সেটা ১০০০ টাকা করে ধার্য। পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড করা হবে।
-
গদ্দারদের হাত থেকে মেদিনীপুরকে রক্ষা করুন
পালিয়ে গিয়েছে যাঁরা গদ্দারি করে, তারা কত নিয়েছে জিজ্ঞাসা করুন। নরেন্দ্র মোদী, আপনার গদ্দাররা চোরের সর্দার। ওরা গেল না এল, তাতে কিছু এসে যায় না। ওই মির্জাফরের দল হাত ধরে বিজেপি-কে নিয়ে এসেছে। এদের থেকে বড় গদ্দার আর কেউ হতে পারে না। এদের হাত থেকে মেদিনীপুরকে মুক্ত করতে হবে।
-
তাজপুর বন্দরে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান
আগে মৎসজীবীদের কোনও পরিচয়পত্র ছিল না, আমরা তৈরি করে দিয়েছি। সহজে উদ্ধার কাজ করা যায়। তাজপুর বন্দর হচ্ছে। সেখানে ২৫ হাজার লোকের চাকরি হবে, সেই চাকরি কাঁথির ছেলে মেয়েরাও পাবে। ছোট শিল্পে আমরা আরও পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করছি।
-
‘ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাবেন না কি সোনার বাংলা বানাবেন’
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ‘ভাইপোকে’ মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চান। আর নরেন্দ্র মোদী ‘সোনার বাংলা’ বানাতে চান। এগরার সভায় অমিত শাহ শ্রোতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়লেন কোনটা চান? শ্রোতা আসন থেকে ভেসে এল ‘সোনার বাংলা।’
-
কাঁথি থেকে দীঘা সেতু
দীঘা গেট তৈরি করলাম আমরা, আমার নাম দিয়ে ওরা নিজেদের নাম করে দিল। কাঁথিতে ৩০০ শয্যার হাসপাতাল হয়েছে, আগামীদিনে ৫০০ হলে ওটাও মেডিক্যাল কলেজ হবে। দীঘাতেও মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভের মতো সেতু তৈরি হচ্ছে। কাঁথি থেকে দীঘা সেতু তৈরি হলে নতুন করে সেজে উঠবে।: এগরায় মমতা
-
আগে আমাকে কাঁথিতে মিটিং করতে দেওয়া হত না: মমতা
আমি আজ খুশি। আমার মা বোনেরা যাঁরা রোদে এত দূর থেকে হেঁটে এসেছেন, তাঁদের প্রণাম। আমাকে আগে কাঁথিতে মিটিং করতে দেওয়া হত না, এগরায় মিটিং করতে দেওয়া হত না। আগে একজনের জমিদারি ছিল। যাঁরা ওদের কথা শুনবে তাঁরাই থাকবে, যাঁরা শুনবে না, থাকবে না, এটাই ছিল নিয়ম। এখন আর এসব চলবে না।: এগরায় মমতা
Published On - Mar 21,2021 3:49 PM