গো-হত্যা বন্ধের বিরোধিতায় যোগীকে বাপবাপান্ত অনুব্রতর
আব্বাস সিদ্দিকি থেকে যোগী আদিত্যনাথ, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির মন্তব্যে বিতর্ক
বীরভূম: মঙ্গলবার মালদহের বুকে দাঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনার যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) ঘোষণা করেছেন বাংলায় ক্ষমতায় আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গো-হত্যা নিষিদ্ধ হবে। এই প্রেক্ষিতে বোলপুরের সভা থেকে যোগীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। কার্যত বাপবাপন্ত করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা, বাংলার মাটি যোগীর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বললেন, “ও কোন হরিদাস পাল?”
মঙ্গলবার বীরভূমের হাসনে তৃণমূলের মহিলা জনসভায় উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত। সেখান থেকে বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনার যোগী আদিত্যনাথ থেকে আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকির উদ্দেশে হুঙ্কার দেন তিনি। অনুব্রত মন্ডলের।পালটা এদিন সভা শেষে যোগি আদিত্যনাথ কে ও আব্বাস সিদ্দিকি কেও কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “ও কোন হরিদাস পাল?” যোগী রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে ৬ হাজার ৭০০ জন মুসলিম ছেলেকে ইনকাউন্টার করেছে পুলিশ। প্রতিদিন সেখানে মহিলারা ধর্ষিতা হচ্ছেন। এরপর তাঁর কটাক্ষ, বাংলায় বিজেপি এলে ঠিক এগুলোই হবে। এই প্রেক্ষিতে তাঁকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন: দিলীপের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি
প্রসঙ্গত, এদিন মালদহের সভা থেকে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ শানান যোগী। তিনি বলেন, ‘বাংলা হিংসার ভূমি হয়ে উঠছে।’বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, “বাংলায় ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হবে গো-হত্যা।” সেই বক্তব্যের রেশ টেনে কটূ মন্তব্য করলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui) কে করে অনুব্রতর দাবি, “বাংলার মুসলিমরা ওতো বোকা নয়। তাঁরা জানেন ওঁকে ভোট দিলে ভোটটাই নষ্ট হবে। বাম ও বিজেপিকে একই সারিতে ফেলে তাঁর কটাক্ষ, সিপিএম, বিজেপি, সবই আসলে এক।
এদিকে যোগী আদিত্যনাথের এ দিনের ভাষণের নিন্দা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তাঁর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে থাকা প্রবাসী বাঙালিরা রাজনীতিতে থাকলেও তাঁদের ভোটে লড়ার টিকিট দেয়না বিজেপি।