রামপুরহাট: কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ৩০০ জন কর্মী ও সমর্থক। ঘটনাটি বীরভূমের হাঁসন বিধানসভা একাকার নলহাটি ২ ব্লকের বারা গ্রামের। নলহাটির বারা গ্রামের কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সৈয়দ শাহ জাফর আলি তাঁর দলের ৩০০ জন কর্মী ও সমর্থককে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বারা গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তাঁরা, সেখানেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে গ্রহণ করেন হাঁসন বিধানসভার বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য।
দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের অশুভ জোটের প্রতিবাদ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতে চেয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক তথা কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, দিকে দিকে মানুষ তৃণমূলে যোগদান করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে এবং মানুষের স্বার্থে কাজ করার জন্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এরা যোগদান করেছে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় জানান, হুমকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে তৃণমূল দল ভাঙাচ্ছে। এখানেও তাই হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পর্ব মিটতেই রাজ্য জুড়ে চলছে দলবদলের ‘খেলা’। জেলায় জেলায় চলছে দলবদল। দুদিন আগেই বীরভূমের দুবরাজপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া প্রার্থীকেও দলে টেনেছে তৃণমূল। বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরেছে অন্তত ৫০ টি পরিবার। দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৭ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মী মুর্মু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দেন। আবার তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে যাওয়ারও উদাহরণ নিতান্ত কম নয়।