উত্তমকুমারের কপাল পড়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী সাধুবাবার, মৃত্যু-মাসে গায়ে কাঁটা দেওয়া সত্য জানালেন ভাইঝি

Sneha Sengupta |

Jul 03, 2024 | 10:21 PM

EXCLUSIVE Uttam Kumar: জানেন কি, মহানায়কের জন্মের সময় দৈববাণী করেছিলেন এক সাধু। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অবিশ্বাস্যরকম সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। শরীরে শিহরণ জাগানো। সেই ঘটনার কথা টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালকে বর্ণনা করেছেন মহানায়কের ভাইঝি তথা তাঁর ছোটভাই আর-এক প্রথিতযশা অভিনেতা তরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায় (ডাকনাম ঝিমলি)।

উত্তমকুমারের কপাল পড়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী সাধুবাবার, মৃত্যু-মাসে গায়ে কাঁটা দেওয়া সত্য জানালেন ভাইঝি
উত্তমকুমারের জীবনের দৈববাণী...

Follow Us

উত্তমকুমারের জন্মকালেই ঘটেছিল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। এমন একটি ঘটনার কথা যদি না চট্টোপাধ্যায় পরিবারের থেকেই প্রকাশ হত, তাহলে বোধ বিশ্বাস করা খুব কঠিনই হত। সেই অকথিত কাহিনীই টিভি নাইন বাংলা ডিজিটাল-কে জানালেন উত্তমের ভাইঝি তথা তরুণ কুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়।

মহানায়ক উত্তমকুমার। জুলাই তাঁর মৃত্যু মাস। বড্ড তাড়াতাড়ি, মাত্র ৫৪ বছর বয়সে না-ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন তিনি। খুবই অল্প সময়ে, কঠিন অধ্যবসায়ে মানুষের মনে নির্বিকল্প আসনটি দখল করে নিয়েছিলেন অনায়াস মুগ্ধতার জালে। স্রেফ নায়কের ভাবমূর্তিতেই তিনি নিজেকে বেঁধে রাখেননি, বারে বারে চরিত্রাভিনেতা হিসাবেও প্রমাণ করার চেষ্টা করে গেছেন। তবে শেষ বিচারে তিনি বাঙালির একমেবদ্বিতীয়ম ম্যাটিনি আইডল। বাংলার অকৃত্রিম মহানায়ক। এবং এই পরিচয় তাঁকে দিয়েছেন বাংলার আপামর সাধারণ দর্শক। সমকালীন যুবদের কাছে তিনি ‘গুরু’। তাঁর রূপ, অননুকরণীয় চলন-বলন, ভুবন ভোলানো হাসি, অসামান্য অভিনয় দক্ষতা, দৈব সম্মোহনে আচ্ছন্ন করেছে বাঙালিকে। ঠিক যেন স্বর্গের সিঁড়ি থেকে নেমে আসা এক দেবদূত। তিনি যেন সকলের মধ্যে থেকেও কী ভীষণ অধরা! জানেন কি, মহানায়কের জন্মের সময় সত্যই এক দৈববাণী করেছিলেন এক সাধু। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অবিশ্বাস্যরকম সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। শরীরে শিহরণ জাগানো। সেই ঘটনার কথা টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালকে বর্ণনা করেছেন মহানায়কের ভাইঝি তথা তাঁর ছোটভাই আর-এক প্রথিতযশা অভিনেতা তরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায় (ডাকনাম ঝিমলি)।

বিশ্ব সাহিত্যে (মূলত মহাকাব্য) ওব়্যাকল কিংবা দৈববাণী পরিচিত বিষয়। মহাকাব্যের প্রেক্ষাপটে আবছায়া অবয়বের দৈববাণী মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে থাকে গল্পের। বহু পাঠকের মনে হয়, এ তো বাস্তব নয়। এ কল্পনা। সত্য নয়। কিন্তু তেমনই একটি দৈববাণী সত্য হয়েছে বাস্তবে। বিশ্বাস না করতে চাইলেও, এটাই সত্য, মহানায়কের জন্মের সময়ও তেমনই এক দৈববাণী শুনিয়েছিলেন এক সাধু। মনামীদেবী বলেছেন, “জ্যাজানের (উত্তমকে ওই সম্বোধনই করতেন ভাইঝি) জন্মের পরই একটা ঘটনা আপনাদের সঙ্গে আমি শেয়ার করতে চাই আজ। এই মাসেই ওনার মৃত্যু ঘটেছিল। এই মাসটা এলে বারবারই আমার সেই কথাটা খুব মনে পড়ে। ২৪ জুলাই। হাসপাতাল থেকে খবরটা এল, জ্যাজান, অর্থাৎ উত্তমকুমার আর নেই। শুনেই আমার ঠাকুমা চপলা চট্টোপাধ্যায় জ্ঞান হারালেন। চেতনা ফিরতেই, তাঁর শরীর কাঁপছে…”

এই খবরটিও পড়ুন

কথাগুলো বলতে-বলতে গলা ধরে আসে মনামীদেবীরও। উত্তমকুমারের মৃত্যুর ৪৪ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেই অভিশপ্ত দিন তিনি আজও ভুলতে পারেন না। তারকা-সন্তান মনামী বলেন, “সেদিন ঠাকুমার মুখে শোনা, তখন আমার জ্যাজান উত্তমকুমার সবে জন্মেছেন। দোলনায় দুলছেন। ঠাকুমার বাবার এক বন্ধু সাধক হয়ে হিমালয়ে চলে গিয়েছিলেন। কোনও এক কারণে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন। ঠাকুমাকে ‘চোপু’ বলে ডাকতেন তিনি। সদ্যজাত অরুণকুমার (উত্তমকুমারের পিতৃদত্ত নাম সেটাই)কে দেখতে এসেছিলেন সেই সাধু। তারপর তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান জ্যাজানের কপাল দেখে। দোলনায় দোল খাওয়া শিশু উত্তমের কপালের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘জগৎ জোড়া নাম হবে এই ছেলের, কিন্তু ওকে তুই ধরে রাখতে পারবি না’। জ্যাজানের মৃত্যুর পর ঠাকুমা কাঁদতে-কাঁদতে বলেছিলেন, ‘কাকাবাবু থাকলে আমি সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতাম। তীব্র যন্ত্রণায় নাড়ি ছিঁড়ে বাচ্চার জন্ম হয়। আমার সেই নাড়ি পাক খেয়ে গলা দিয়ে উঠছে…।'”

 

Next Article