AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

লোপামুদ্রা অজ্ঞান! খবর পড়তে-পড়তে নেতিয়ে গেলেন অভিনেত্রী, কী ঘটে? এখন কেমন আছেন?

Lopamudra Sinha illness: লোপামুদ্রা গিয়েছিলেন বুলেটিন পড়তে। দূরদর্শনের সংবাদ পাঠিকারা শাড়ি পরে সংবাদ পাঠ করেন, এটাই রীতি। যুগ-যুগ ধরে এটাই চলে আসছে। লোপামুদ্রাকেও সকলে দূরদর্শনের পর্দায় শাড়ি পরেই সংবাদ পাঠ করতে দেখেন। যেখানে তিনি খবর পড়ছিলেন, সেই ঘরে এসি চলছিল। তা সত্ত্বেও প্রচণ্ড গরম লাগছিল লোপামুদ্রার। দরদর করে ঘামছিলেন তিনি। হঠাৎই ব্ল্যাকআউট হয়ে পড়েন যান। তারপর যা-যা ঘটে বিস্তারিতভাবে TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

লোপামুদ্রা অজ্ঞান! খবর পড়তে-পড়তে নেতিয়ে গেলেন অভিনেত্রী, কী ঘটে? এখন কেমন আছেন?
লোপামুদ্রা মিত্র।
| Updated on: Apr 22, 2024 | 10:28 AM
Share

জানেন কি বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী লোপামুদ্রা সিনহা সম্প্রতি জ্ঞান হারিয়েছিলেন। ১৮ই এপ্রিল, অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা। হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এটাকেই কি ব্ল্যাকআউট বলা হয়? এরপর সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ লোপামুদ্রা দিয়েছেন TV9 বাংলার কাছে। সতর্ক করেছেন মানুষজনকে।

বিগত দু’দর্শক ধরে বাংলা সিরিয়ালের পরিচিত মুখ লোপামুদ্রা সিনহা। তাঁর আরও এক পরিচয় তিনি দূরদর্শনের সংবাদ পাঠিকা। ২১ বছর ধরে সংবাদ পাঠ করছেন এই অভিনেত্রী। TV9 বাংলার সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে-বলতে বলেছেন, “সংবাদ পাঠ করা আমার প্যাশন। রুজিরুটি দেয় অভিনয়। প্রত্যেক সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন তিনি দূরদর্শনের অফিসে চলে যাই সংবাদ পাঠ করার জন্য।”

ঠিক তেমনভাবেই গত বৃহস্পতিবারও লোপামুদ্রা গিয়েছিলেন বুলেটিন পড়তে। দূরদর্শনের সংবাদ পাঠিকারা শাড়ি পরে সংবাদ পাঠ করেন, এটাই রীতি। যুগ-যুগ ধরে এটাই চলে আসছে। লোপামুদ্রাকেও সকলে দূরদর্শনের পর্দায় শাড়ি পরেই সংবাদ পাঠ করতে দেখেন। যেখানে তিনি খবর পড়ছিলেন, সেই ঘরে এসি চলছিল। তা সত্ত্বেও প্রচণ্ড গরম লাগছিল লোপামুদ্রার। দরদর করে ঘামছিলেন তিনি। হঠাৎই ব্ল্যাকআউট হয়ে পড়েন যান।

TV9 বাংলাকে লোপামুদ্র বলেছেন, “আর বলবেন না, যা অবস্থা হল আমার আর বলার নয়। প্রত্যেক সপ্তাহে আমি সংবাদ পড়তে যাই দূরদর্শন ভবনে। বৃহস্পতিবারও গিয়েছিলাম। সেদিন কোনও বাইট চলছিল না। সব খবরই পড়তে হয়েছে। স্ক্রোলিং দেখে-দেখে খবর পড়ে যাচ্ছিলাম একের পর-এক। আমি ১৫ মিনিট কিংবা আধঘণ্টার বুলেটিনে বসি সাধারণত। খবর পড়তে-পড়তে কখনও জল খাই না। কিন্তু সেইদিন আমার বারবার জল পিপাসা পাচ্ছিল। এদিকে সবই খবর, একটাও বাইট নেই। আমাকেই যদি সারাটাক্ষণ স্ক্রিনে দেখা যায়, জল তো খেতে তো পারব না। ফ্লোর ম্যানেজারের কাছে জল চেয়েছিলাম। একটু জলও খেয়েছিলাম।”

তারপরই ঘটে বিপত্তি। লোপামুদ্রা জানিয়েছিলেন তাঁর মাথা হঠাৎ ঘোরাতে শুরু করে। চোখে সবকিছুই ঝাপসা দেখতে শুরু করেন। অভিনেত্রী বলেন, “বুলেটিন প্রায় শেষের পর্যায় ছিল। চারটে নিউজ পড়া বাকি ছিল আমার। দুটো পড়েছিলাম। তিন নম্বরটা ছিল এই গরমে হিট ওয়েভ নিয়েই। ওই খবরটা পড়তে-পড়তেই আমার কথা জড়িয়ে আসে। আমার এই অবস্থা দেখে পিসিআর থেকে সঙ্গে-সঙ্গে মন্তাজ চালানো হয়। ডাক্তার এসে বলেছিলেন, আমার প্রেশার ফল করেছে। আমার সাধারণত লো প্রেশারই থাকে। ৯০/৬০। কিন্তু ওইদিন ৮০/৫০ হয়ে গিয়েছিল। তাই এই বিপত্তি।”

প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে শহরবাসী। এই গরমে নিজেকে যতখানি সম্ভব হাইড্রেটেড (পড়ুন আর্দ্র) রাখার চেষ্টা করতে হবে। তেমনটাই বলেছেন অভিনেত্রী লোপামুদ্রা সিনহা। বলেছেন, “এই গরমে সকলে এসিতে রয়েছেন। আমি কিন্তু এসি চালাই না সব সময়। বাড়িটাকে অন্যান্য পন্থা অবলম্বন করে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করি। মোটা-মোটা ভেজা কাপড় ঝোলানো হয় দরজা-জানালায়। জোরে পাখা চালানো হয়। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য যা-যা খাদ্য খেলে উপকার, সেগুলো ডায়েট লিস্টে থাকে।”

পরিবেশবান্ধব লোপামুদ্রা এও বলেছেন, “আমি বেশ কিছু সমাজ কল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়ে কাজ করি। আর গাছপালা ভালবাসি। কোথাও বেড়াতে গেলে সঙ্গে গাছের বীজ নিয়ে যাই। রাস্তায় ছড়াতে-ছড়াতে যাই সেইসব বীজ। আসলে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে তো। তাই আমাদের এত বিপত্তি এখন। সেই কারণেই তো মাথাটা ঘুরাল।”