পাকিস্তানের কুকীর্তির চরম মূল্য দিতে হল শাহরুখের এই নায়িকাকে
মাহিরা জানান, কীভাবে তিনি ম্যাণিক ডিপ্রেশন (Manic Depression)-এর মতো মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেটা কাটিয়ে উঠতে কতটা লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে।

ভারতের বুকে এখন নিষিদ্ধ পাকশিল্পীরা। তাঁদের কাজ বর্তমানে স্থগিত। ভারতের বুকে দেখানো হবে না তাঁদের কোনও ছবি, সিরিজ কিছুই। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই ফিরল ২০১৬ সালের স্মৃতি। যখন উরি হামলার পর ঠিক একই পথে পা বাড়িয়েছিল ভারত। বয়কট হয়েছিলেন পাক শিল্পীরা। তারপরই মানসিক অবসাদে ডুবেছিলেন পাক অভিনেত্রী মাহিরা খান। যিনি শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘রইস’ ছবিতে কাজ করেছিলেন। সেটাই ছিল তাঁর বলিউডে প্রথম কাজ।
কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা। ফাই পডকাস্টে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মাহিরা জানান, কীভাবে তিনি ম্যাণিক ডিপ্রেশন (Manic Depression)-এর মতো মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেটা কাটিয়ে উঠতে কতটা লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে।
‘রইস’ মুক্তির আগেই শুরু হয় বিপত্তি। ২০১৬ সালে উরি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে অবনতীর কারণে বলিউডে পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এই ঘটনার সরাসরি প্রভাব পড়ে মাহিরার কেরিয়ারে। তিনি বলেন, “আমি ছবির শুটিং শেষ করে ফেলেছি, সবকিছু ভালই চলছিল। কিন্তু উরি আক্রমণের পর সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। ভারত থেকে হুমকির ফোন আসতে থাকে”।
তিনি আরও বলেন, “আমি শুধু চাইছিলাম অন্তত ছবিটা পাকিস্তানে মুক্তি পাক। কারণ শাহরুখ খান এখানে দারুণ জনপ্রিয়।” মাহিরা নিজেই জানান, বিগত ছয়-সাত বছর ধরে তিনি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ খাচ্ছেন। মাঝে কিছুদিন ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু এতে তিনি আরও হতাশায় ডুবে যান। বলেন, “আমি এতটাই অন্ধকার জায়গায় চলে গিয়েছিলাম, যা ভাষায় বোঝানো কঠিন।” তিনি আরও বলেন, “মানসিক অসুস্থতা একধরনের শারীরিক অসুস্থতার মতোই। অনেকেই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যান। কিন্তু ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন একেবারে ভিন্ন স্তরের এক সমস্যা।”
