আবারও বলিপাড়ায় এক বোমা! তাপসী পান্নু ও ম্যাথিয়াস বো’র পর আরও এক গোপনে বিয়ে। এবার বিয়ের পিঁড়িতে অদিতি রাও হায়দারি ও সিদ্ধার্থ। বলিপাড়াএর বেশ কিছু সূত্র জানাচ্ছে, তেলেঙ্গানার এক মন্দিরে কাউকে কিচ্ছুটি না জানতে দিয়ে বিয়ে করেছেন ওঁরা। বিয়ে করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অনস্ক্রিন স্ত্রী (জুবিলি সিরিজে প্রসেনজিতের স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে)। জানা যাচ্ছে, ২৭ মার্চ বুধবার, শ্রীরঙ্গপুরমের মন্দিরে পরিবারের আত্মীয়স্বজন ও কাছের বন্ধুদের নিয়ে বিয়ে সেরেছেন দু’জনে। এখনও পর্যন্ত যদিও বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেননি তাঁরা। তবে শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই বিয়ের প্রথম ছবি সামনে আনবেন তাঁরা।
‘মহাসমুদ্রম’ ছবির মধ্যে দিয়ে আলাপ অদিতি ও সিদ্ধার্থের। ওই ছবির মধ্যে দিয়েই কাছাকাছি আসা। এর পর থেকে দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গেলেও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে চুপই ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সত্যি বেশি দিন চাপা থাকেনি। বছর দুয়েক আগে রাজকুমার রাও ও পত্রলেখার বিয়েতে একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন দু’জনে। এর পর থেকেই গুঞ্জন আরও চরমে ওঠে। এর আগে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ খোলেন অদিতি। বলেন, “এখন কাজ নিয়ে ব্যস্ত তাই ওই সবে মন দিতে চাই না। মানুষের যা বলার বলবে, আমার যা ভাল লাগবে আমি তাই করব। মানুষ যদি আমার কাজ ভালবাসে আমি তাতেই খুশি।” গত বছর অক্টোবর মাসে অদিতির ৩৭তম জন্মদিনে সিদ্ধার্থ এক মিষ্টি পোস্ট করেই তাঁদের সম্পর্কে ইনস্টা অফিসিয়াল করেন। লেখেন, “হ্যাপি বার্থডে পার্টনার”। তবে তাঁরা যে এত জলদি বিয়ে করে নিতে পারেন, সেই ইঙ্গিত কিন্তু দেননি কেউই।
এর আগেও বিয়ে করেছিলেন দু’জনেই। ২০০৩ সালে ছেলেবেলার বান্ধবী মেঘনাকে বিয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থ। তবে ২০০৭ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। ওদিকে মাত্র ২১ বছর বয়সে উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারীকে বিয়ে করেছিলেন অদিতি। কিন্তু সেই বিয়ে ভেঙে যায় ২০১৩ সালে। মেঘনার পর সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে প্রেম ছিল তাঁর। যদিও সেই প্রেম টেকেনি। অদিতির সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন সুখের হোক, আপাতত এমনটাই প্রার্থনা সকলের।